,

বানিয়াচং থেকে নবীগঞ্জে এসে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদে যুবতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার গুনই গ্রামের জনৈকা যুবতি নবীগঞ্জ শহরের একটি ব্যাংকে টাকা উত্তোলন এসে ভংয়কর প্রতারণার ফাঁদে পাঁ দিয়ে অল্পের জন্য ইজ্জত রক্ষা করতে পেরেছে। ব্যাংকে প্রতারক রুবির সাথে পরিচয় হয়ে তার বাড়িতে গিয়ে অনৈতিক কাজে জোর করে জড়ানোর চেষ্টা থেকে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায় জনৈকা যুবতি। রুবি ও তার মাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায়। সুত্রে জানাযায়, বানিয়াচং উপজেলার গুনই গ্রামের জনৈকা যুবতি টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসে পরিচয় হয় নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের রুবি বেগমের সাথে। পরিচয়ের দিন মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করা হয়। এক পর্যায়ে একে অপরের কথিত বোনের মতো সর্ম্পক গড়ে উঠে। কিন্তু’ কে জানতো যে এটা রুবির ভয়ংকর প্রতারনার ফাঁদ। রুবির বাড়ি সদরঘাট হলেও সে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে তার নানা বাড়ি বাউশা ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামে। রুবির সাথে পরিচয়ের পর থেকেই তার নানা বাড়িতে আসার আমন্ত্রন দিতে থাকে গুনই গ্রামের জনৈকা যুবতিকে। পরিচয়ের ৬/৭ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার গুনইগ্রামের জনৈকা ব্যাংকে টাকা উত্তলনের জন্য নবীগঞ্জ আসে খবর পেয়ে রুবিও ব্যাংকে যায়। এসময় জনৈকাকে নানা কৌশলে তার নানা বাড়ি নিয়ে আসে। চা নাস্তাও খাওয়ানো হয় জনৈকাকে। রুবির প্লান মতো সন্ধ্যার দিকে রুবির ঘরের একটি কক্ষে বসে থাকতে বলে জনৈকাকে হটাত করে ঘরের মধ্যে কয়েক যুবক এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে যুবতিকে জোর করে অনৈতিক কাজে জড়ানোর চেষ্টা করে। এসময় ওই যুবতি বাধা দিলে তারা টানা হেচরা শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই যুবতি দরজা খুলে দৌড়ে বাহিরে এসে তার শোর চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় প্রতিবেশীদের পুরো ঘটনরা বর্ননা দেয় ওই যুবতী। এসময় স্থানীয় লোকজন রুবি ও তার মা কে আটক করে রাখেন। পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান রুবি দীর্ঘ দিন ধরে নানার বাড়ি থেকে দেহ ব্যবসা করে আসছে।


     এই বিভাগের আরো খবর