,

বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নবীগঞ্জের আলোচিত হান্নান হত্যাকান্ডের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্টাফ রিপোটার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সমরগাঁও গ্রামের দিনমজুর শ্রমিক আলোচিত হান্নান হত্যাকান্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মামলার প্রধান আসামী মূল গডফাদার গোলাম মূছাসহ আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এদিকে নিহতের পিতা মামলার বাদী নাজিম উল্লাহ সহ তার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছেন। পূর্ব শক্রতার জের ধরেই মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গত ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল হান্নান (৩০) নামের এক সন্তানের জনক রিক্সা চালককে খুন করে দূর্তৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ওই গ্রামের নাজিম উল্লাহ বাদী হয়ে গত ৬ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সমরগাঁও গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানির পুত্র লন্ডন প্রবাসী গোলাম মূছা (৫০) এর সাথে তুচ্চ ঘটনা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল হত্যাকান্ডের শিকার নিহত আব্দুল হান্নানের পিতা একই গ্রামের নাজিম উল্লাহ সাথে। হত্যাকান্ডের ঘটনার কিছু দিন পূর্বে নিহত আব্দুল হান্নানের পিতাকে লন্ডন প্রবাসী গোলাম মূছা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজিম উল্লাহকে রাস্থায় হঠাৎ অর্তকিত হামলা করে মাথায় কুপ মেরে রক্তাক্ত জখমি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে সামাজিক বিচারে নগদ অর্থ দন্ড বহন করতে হয় গোলাম মূছাকে। ঘটনাটি প্রাথমিক ভাবে সুরাহা হলেও এর রেশ কাটেনি। গোলাম মূছা এরই জের ধরে ঘটনার উল্লেখিত রাতে নাজিম উল্লার পুত্র এক সন্তানের জনক রিক্সা চালক আব্দুল হান্নানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তার লোকজন দ্বারা হত্যা করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ডুবায় লাশ লুকিয়ে রাখে। পরদিন সকালে গোলাম মূছার স্ত্রী সুমি আক্তার (২০) এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী লাশ উদ্বার করা হয়। পরে তার স্বীকারউক্তিতে জুহুরপুর গ্রামের সাহেদ মিয়া (৩৫) নামের আরেক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানায় নিহত আব্দুল হান্নানের পিতার দায়েরকৃত মামলায় ১৩ জনকে আসামী করলেও সাহেদ নামের যুবককে পুলিশের হাতে ধৃত গোলাম মূছার স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সুমি। গোলাম মূছার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সে টাকার প্রভাবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা করেছে। এমন কি তার বাড়িতে দিনে রাতে মাইক ব্যবহার করে এলাকার লোকজন ও প্রতিপক্ষকে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ সহ তার প্রায় ২০টি পালিত কুকুর দ্বারা শতাধীক ছাগল মেরে ফেলেছে। নিহতের পরিবারের লোকজন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবী করেছেন। এখনো চলছে নিহত পরিবারে শোকের মাতম।


     এই বিভাগের আরো খবর