,

বাংলাদেশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পাকিস্থানের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে

লন্ডন: বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্থানের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, সেই সাথে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্যে পাকিস্থানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, আন্তর্জাতিক বিধি মোতাবেক বাংলাদেশের সম্পদ ফেরত দিতে হবে। এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি ও বাংলাদেশ ফোরাম ইউরোপ। গেল ৩ডিসেম্বর বিকেলে ইষ্টলন্ডনের মন্টিফিউরী সেন্টারে ‘‘ ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের উত্থান ও আমাদের করনীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি এ আহবান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অন্যতায় পাকিস্থানের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্যে পাকিস্থানকে দায়ী করে সংবাদ স¥েলনে বক্তরা বলেন বাংলাদেশের ্উগ্রপন্থি ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্টীকে পাকিস্থান সহায়তা করছে। বিশেষ করে আনরারুল্লা বাংলাটিম, জেএমবি, হিযবুত তাহরির সহ অন্যান্য উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠন গুলোকে আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্থান। বাংলাদেশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পাকিস্থানের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে বলা হয় মানবতা বিরুধী যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। মানবতা বিরুধী অপরাধীদের সাজাই যথেষ্ট নয় তাদের সম্পদ দিয়ে শহীদ পরিবার ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঘাতক–দালাল নির্মুল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল, ঘাকত-দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শহীদ বুদ্ধিজীর সন্তান ডা: নুজহাত চৌধুরী, বাংলাদেশ ফোরাম ইউরোপের আহবায়ক বিকাশ চৌধুরী বড়–য়া, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাথখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক ইসহাক কাজল ও নির্মূল কমিটি ইউকের সেক্রেটারী সাংবাদিক সৈয়দ আনাছ পাশা।


     এই বিভাগের আরো খবর