,

৩৫ বছরেও নির্মিত হয়নি বাহুবলের বক্স কালভার্ট

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উজিরপুর-রাঘবপুর গ্রামের সংযোগ খালের উপর কালভার্টটি দীর্ঘ ৩৫ বছরেও নির্মিত হয়নি। এক সময় ওই স্থানের উপর বক্স কালভার্ট ছিল। উজিরপুর-রাঘবপুর গ্রামের পশ্চিম অংশে করাঙ্গী নদী ঘেষা ওই খালের উপর দিয়ে প্রতিদিনই গ্রামের লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে পারস্পরিক চলাচল করছেন। রাঘবপুর গ্রামের কোমলমতি শিশুরা অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে সকালে কাকডাকা ভোরে মক্তবে মসজিদে আসা যাওয়া করে আসছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ঝকিপূর্ণ থাকে সবচেয়ে বেশি। কোন কোন সময় অথৈ পানির কারণে শিশুদের মক্তবে যাওয়া আসাও বন্ধ থাকে। গ্রামবাসী নিজেদের উদ্যোগেই বাঁশের সাঁকো তৈরী করে দিলে এর উপর দিয়েই শিশু সহ গ্রামবাসী চলাচল করতে হচ্ছে। কখন যে কোন শিশু অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় পতিত হয় তা নিয়ে অভিভাবকগণ থাকেন সার্বক্ষণিক শংকিত। গ্রামের কৃষক ময়না মিয়া জানান, স্বাধীনতার পূর্ব ও পরবর্তীকাল পর্যন্ত ওই স্থানের উপর বক্স কালভার্ট ছিল। ভারত উপমহাদেশের সিপাহসালার দ্বিতীয় শাহজালাল মাওলানা আব্দুল হামিদ (রঃ) সাতকাপন ইউপির চেয়ারম্যান থাকালে তিনি গ্রামবাসীর কল্যাণে ইহা নির্মাণ করেন। কালভার্টটি সময়ের ব্যবধানে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ক্রমান্বয়ে তা ধসে পড়ে। এমন অবস্থার আজ দীর্ঘ ৩৫ বছর অতিবাহিত হলেও ক্ষুদ্রতম এ কালভার্টটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেননি কোন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। অথচ বিভিন্ন স্থানের কালভার্ট নির্মাণের বরাদ্দ থাকলেও ওই স্থানের কালভার্টের কোন বরাদ্দ আজও ভাগ্যে জুটেনি রাঘবপুর উজিরপুর গ্রামবাসীর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের তরুণ যুবসমাজ বিশেষ করে আব্দুল হক, রুকন, জাহিদ, রুহুল আমিন, ইমাম হাফেজ আফছর উদ্দিন, লাল মিয়া, রহমত আলী, নূরুল আমিন, মামুন, শামছু সহ আরো অনেকে স্ব উদ্যোগে নিজেরা বাঁশ দিয়ে সাকোঁ তৈরী করে পারাপারের ব্যবস্থা করেছেন। এভাবে ৩৫ বছর যাবৎ প্রতি বছর সাঁকো তৈরী করে তার উপর দিয়েই ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে গ্রামের ভেতর রাস্তার করুণ দশা। হাটে, বাজারে, মসজিদে পানি কাঁদা দিয়েই চলাচল করছেন বিদ্যালয়গামী শিশু সহ গ্রামবাসী। জনস্বার্থে এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর