,

নবীগঞ্জ পৌর নিবাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীর আয়-ব্যয় ও সম্পদের বিবরণ

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে এবার ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলফনামায় আয়-ব্যয়, সম্পদের বিবরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনিত ৩ দলের ৩ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২ জন। প্রত্যেক প্রার্থীই নোটারি পাবলিক করে তাদের সকল তথ্য দিয়ে হলফনামা দাখিল করেছেন নির্বাচন কমিশনে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল ইসলাম ৩ বারের নির্বাচিত মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ কমিটির সদস্য। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী ৩ বারের প্যানেল মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি। আওয়ামীলীগের প্রার্থী তোফাজ্জল ইসলাম হলফনামায় নিজেকে শিক্ষক উল্লেখ করেছেন। তিনি নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কোন মামলার আসামী নয়। তোফাজ্জল ইসলামের কৃষিখাত থেকে বার্ষিক আয় ১০হাজার টাকা, পেশা (শিক্ষকতা) থেকে বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬শত ৫০টাকা, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ২লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও নগদ আছে ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ১০হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ ভরি স্বর্ণ। ঘরে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আছে- রঙ্গিন টিভি, ফ্রিজ, অভেন, ফ্যান ইত্যাদি। আসবাব পত্রের মধ্যে আছে সোফা সেট, ৩টি খাট, ৩টি ষ্টীলের আলমিরা, ২টি শোকেশ, ১ সেট ড্রাইনিং টেবিল ইত্যাদি। উনার নিজের নামে কোন জমি নেই। স্ত্রীর নামে আছে কৃষি জমি ১ একর, যৌথ মালিকানাধীন আছে ১০ একর ও অকৃষি আছে ১.৫০ একর। উনার টিন শেডের ঘর আছে ২টি। মেয়র তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের আলহাজ্ব মরহুম তাজুল ইসলাম চৌধুরীর ও আলহাজ¦ সালমা চৌধুরীর ছেলে। অপরদিকে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। পৌর এলাকার উনার ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের হাই স্কুল রোডে মেসার্স এম.কে চৌধুরী ষ্টোর ও হবিগঞ্জ রোডে মেসার্স চৌধুরী আটো রাইছমিল। এ দুই ব্যাবসা থেকে ছাবির আহমেদের প্রতি বছরের আয় ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ১শত ৯৬ টাকা। কৃষি খাতে আয় ৩০হাজার টাকা। পৌর কাউন্সিলর হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ৬০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ:- হলফনামায় উল্লেখ করেছেন ছাবির আহমদের নগদ টাকা আছে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর আছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা আছে ৪৭ হাজার ৬শত ১৭ টাকা ও স্ত্রীর নামে আছে ১লক্ষ ৯২ হাজার ২৩ টাকা। নিজের নামে স্বর্ণ আছে ১ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ১৫ ভরি এবং নির্ভরশীলের নামে আছে ৩ ভরি। নিজের নামে কোন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী না থাকলেও স্ত্রীর নামে আছে- ১টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ২টি মোবাইল ফোন। আসবাবপত্র নিজের নামে আছে ১টি খাট, ১টি সোফা সেট, ১টি ডাইনিং টেবিল, ৬টি চেয়ার। স্ত্রীর নামে আছে ১টি খাট, ১টি ড্রেসিং টেবিল, ১টি আলমিরা। স্থাবর সম্পদ:- কৃষি জমি নিজের নামে আছে ৬১৪ শতক, স্ত্রীর নামে ৭৭.৫০ শতক। অকৃষি নিজের নামে ১২৫০ শতক, স্ত্রীর নামে ১২৭ শতক। আলহাজ¦ ছাবির আহমদ চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের মো: কবির মিয়া চৌধুরী ও মোছা: এলাছি কবির চৌধুরীর ছেলে। অপর দিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন লন্ডন প্রবাসী জাহাঙ্গীর রানা। তিনি হলফনামায় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কৃষি। কৃষি খাতে জাহাঙ্গীর রানার প্রতি বছর আয় দেড় লক্ষ টাকা। নগদ ২লক্ষ টাকা আছে। নিজের একটি মোটরসাইকেল আছে। স্ত্রীর নামে আছে ৬ভরি স্বর্ণ। স্থাবর সম্পদ- যৌথ মালিকানাধীণ আছে ৭একর জমি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর রানা পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম ও ফরিদা খাতুনের ছেলে। জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মাহমুদ চৌধুরী। তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ.এস.সি। কোন মামলায় আসামী নেই। পেশা উল্লেখ করেছেন কৃষি। কৃষি থেকে প্রতি বছর আয় হয় ১লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। নগদ আছে ১লক্ষ টাকা। স্ত্রীর আছে ৫ভরি স্বর্ণ। মাহমুদ চৌধুরী পৌর এলাকার শান্তিপাড়া গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়া চৌধুরী ও মৃত বেগম খায়রুনেছার ছেলে। এদিকে, অপর স্বতন্ত্র পার্থী আব্দুল জুবায়ের চৌধুরী। কোন মামলায় আসামী নেই। তিনি লন্ডন প্রবাসী। নগদ কোন টানা নেই তবে ব্যাংকে আছে ২লক্ষ ১হাজার টাকা। ঢাকা মেট্রো চ- ১৫-১২৭৬ নাম্বারের নোহা গাড়ীর মালিক তিনি। ঘরে আছে একটি টিভি ২ টি মোবাইল। তিনি শান্তি পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে।


     এই বিভাগের আরো খবর