স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ পৌরসভার বিদায়ী মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভায় তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তার দীর্ঘ দায়িত্বকালে পৌর শহরের ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তোলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পৌরসভার সেবক হিসেবে কাজ করেছি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরাজিত হলেও মানুষের সেবক হিসেবে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার দ্বীপ্ত ঘোষনা দিয়ে বলেন, পৌরসভাকে একটি পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলতে আন্তরিক ভাবে কাজ করেছি। গেল অর্থ বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। সদা হাস্যজ্জ্বল বিদায়ী পৌর পিতা অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, বিগত ১৭ বছর পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, পৌর শহরতলীতে কোন ব্রীজ কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট ছিলনা, ছিলনা কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে মাটি ভরাটের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে উন্নয়ন কর্মকান্ডের যাত্রা শুরু করি। নাগরিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে নবীগঞ্জ শহরে গ্যাস সংযোগ স্থাপনের ফলে নাগরিকবৃন্দ তার সুফল পাচ্ছেন। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বাস টার্মিনাল, গ্রোথ সেন্টার, ছালামতপুর এলাকায় পৌর পশু (গরুর) হাট, স্কুল, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাগব করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। শহরের জলাবদ্ধতা দূরনী করনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ করেছি, ফলে শহর ও শহরতলীর কোথায়ও জলাবদ্ধতা নেই। অন্ধকার ও ভুতরে পরিবেশ দূর করতে শুরুতেই শহরকে আলোকিত করার উদ্যোগ গ্রহন করে সড়ক বাতি (স্ট্রিটলাইট) স্থাপনের কাজ শুরু করেছিলাম। আজ শহর এবং শহর তলীর প্রত্যেক সড়কে স্টিটলাইট সম্প্রাসারিত হয়েছে। পৌরসভার স্থপতি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়াসহ সম্মানিত নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় তৃতীয় শ্রেণীয় পৌর সভা পর্যায়ে ক্রমে এবং আজ প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি পৌর মেয়র হিসাবে ২০১৫ অর্থ বছরে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১১১ টি প্রকল্প দিয়েছি। ইতিমধ্যে ওই সব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে নাগরিকদের আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে এডিপির অর্থায়নে প্রকল্পে ১ নং ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ টাকা ব্যায়ে গন্ধা গয়না ঘাট রাস্তা হতে আলকাছ মিয়ার বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন এবং ড্রেন নির্মান গন্ধা উজ্জলের বাড়ীর সম্মুখ হইতে রাজা মিয়ার বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তায় ড্রেন নির্মান, কলেজ পাড়া রবি ঠাকুর গাছের বেদী নির্মান। ২নং ওয়ার্ডে ৪লাখ ৬৮হাজার ২৬৮ টাকা ব্যায়ে অভয়নগর ব্রীজ এপ্রোচ আর, সিসি দ্বারা উন্নয়ন। বানিয়াচং রাস্তা হইতে মৃত এ,টি,এম খেজুর এর বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা মাটি ভরাট দ্বারা উন্নয়নও রাজনগর কবর স্থান মাটি দ্বারা উন্নয়ন। ৩নং ওয়ার্ডে ৬লাখ ৬৫হাজার ২৭০ টাকা ব্যায়ে গোবিন্দ জিউর আখড়ায় ভবন নির্মান এবং আখড়ার আঙ্গিনা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন। ৪ নং ওয়ার্ডের ৫লাখ ৫৪ হাজার ৩৬ টাকা ব্যায়ে হ্যালিপেড রোড হইতে বাদল দেবের বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন বারুনী মাঠের পূর্বের ইট সলিং রাস্তার পার্শ্বে প্যালাসাইডিং নির্মান, মধ্যগোপাট রাস্তা হইতে সুবোধ দাশ এবং মনোরঞ্জন দাশের বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন। ৫নং ওয়ার্ডে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৪৪ টাকা ব্যায়ে রাজাবাদ পুরোনো সিসি রাস্তা হইতে জামাল উদ্দিনের বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন ও সাদু মিয়ার বাড়ীর সম্মুখ হইতে আহসান আলীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার পার্শ্বে ব্রিক ড্রেন নির্মান। ৬নং ওযার্ডে ৫লাখ ৫১ হাজার ৮৯৫ টাকা ব্যায়ে চরগাঁও রাস্তা হইতে মনসুর চৌধুরীর বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন, চরগাঁও গুরা বাড়ী রাস্তা হইতে ছালিক মিয়ার বাড়ীর পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন, চরগাঁও রাস্তা হইতে শওকত আলীর বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন , চরগাঁও বায়তুল আমান জামে মসজিদের পাশের রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন। ৭ নং ওয়ার্ডে ৮লাখ ৩৪হাজার ৪৩৪ টাকা ব্যায়ে নয়াপাড়া কবর স্থানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান, নহরপুর মসজিদের কর্ণার হইতে আব্দুল মতলিবের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন, শেরপুর রোড হইতে খোকন চৌধুরীর বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন, আবু বক্কর সাহেবের বাড়ীর সম্মুখের রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন এবং গাইড ওয়াল নির্মান, নহরপুর মোস্তফা এবং ফজলু মিয়ার বাড়ীর সম্মুখের রাস্তায় দুটি কালভার্ট নির্মান। ৮নং ওয়ার্ডে ৬লাখ ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা ব্যায়ে সামন্ত বাড়ীর রাস্তায় ড্রেন নির্মান শ্যামলী আবাসিক এলাকায় মিঃ স্বপনের বাড়ীর পাশের রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন ও ব্রিক ড্রেন নির্মান, মেন্দি মিয়ার বাড়ীর রাস্তায় বাঁশের প্যালাসাইডিং নির্মান। ৯ নং ওয়ার্ডে ৫লাখ ৮৮হাজার ১৫৯ টাকা ব্যায়ে তিমিরপুর রূপসী গাছ সিসি দ্বারা উন্নয়ন এবং তিমিরপুর মাদ্রাসা ও মসজিদ মাটি দ্বারা উন্নয়ন। তিমিরপুর বাবুল মিয়ার বাড়ীর রাস্তা হইতে ফারুক মিয়ার বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত, হবিগঞ্জ রোড হইতে গৌতম এবং মানিকের বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত এবং তিমিরপুর শ্মশান থেকে তিমিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাঁশের সাকোর উত্তর পার্শ্ব পর্যন্ত ইট সলিং করন , পশ্চিম তিমিরপুর রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন এবং হবিগঞ্জ রোড হইতে তমু মিয়ার বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন। ৬নং ওয়ার্ডে ২ লাখ ৮৫হাজার ৪৬ টাকা ব্যায়ে চরগাঁও ঈদগাহ রাস্তা হইতে মিঃ মোতাহার চৌধুরীর বাড়ীর সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা আর, সিসি দ্বারা উন্নয়ন, চরগাঁও রোড হইতে আকিকুর রহমানের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা ইট সলিং দ্বারা উন্নয়ন, চরগাঁও ইসমাইল চৌধুরীর বাড়ীর সম্মুখের রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত প্রকল্প সমুহ নিম্নরুপ ২নং ওয়ার্ড ১৯ লাখ ৮২হাজার ৯৫৬টাকা ব্যায়ে অভয়নগর রাস্তার পার্শে ওসমানী রোড হইতে শাখা বরাক নদী পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মান। ৫নং ওয়ার্ডে ১৭ লাখ ৬ হাজার ৯৭৬ টাকা ব্যায়ে রাজাবাদ এলাকায় বানিয়াচং রাস্তার পার্শ্বে ব্রিক ড্রেন নির্মান। ৬নং ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭৭৪ টাকা ব্যায়ে চরগাঁও রোড হইতে বেগম আনোয়ারা চৌধুরীর বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন , চরগাঁও পূবের বাড়ির পাশের রাস্তা আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন। ৯নং ওয়ার্ডে ৮লাখ ৪২হাজার ৬৪৫টাকা ব্যায়ে জয়নগর-সুজাপুর রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন। ৩নং ওয়ার্ড ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬২৫টাকা ব্যায়ে মধ্য বাজার রাস্তায় মি: সাবু মিয়ার দোকানের সম্মুখ হইতে হবিগঞ্জ রাস্তার জুয়েল ম্যানশন পর্যন্ত রাস্তার পাইপ ড্রেইন ও ক্রস ড্রেইন নির্মান। ১২লাখ ৮৬ হাজার ১৬৫ টাকা ব্যায়ে ছালামতপুর ব্র্যাক অফিস রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন শিবপাশা-নয়াপাড়া রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন। ১২লাখ ৭৯ হাজার ৮ টাকা ব্যায়ে গয়াহরি আখড়া রোড হইতে কালেক্টর বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন এবং মাটি ভরাটকরন, বানিয়াচং রোড হইতে শাখা বরাক নদী পর্যন্ত উত্তম কুমার হিমেলের বাড়ির পার্শ্বের রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন, বানিয়াচং রোড হইতে নারায়ন মাষ্টারের বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা সিসি দ্বারা উন্নয়ন, ১০ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৬ টাকা ব্যায়ে সাকোয়া রাস্তা হইতে কদর মিয়ার বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন। ৯ লাখ ৮হাজার ৯৬২ টাকা ব্যায়ে নয়াপাড়া রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন।