,

মাধবপুরে চোরাই তেলবাহী লরিতে রহস্যময় আগুন

আব্দুল হামিদ ॥ মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তবর্তী নোয়াগাঁও এলাকার কৃষি জমির উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় গ্রিড লাইনের পাইন চিদ্র করে লরিতে করে চোরাই তেল নিয়ে মহাসড়কে উঠার সময় এক্সেল ভেঙ্গে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর লাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগ্নিকান্ডের পর ঢাকা সিলেট মহাড়কের দু’ পাশে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। মাধবপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দমকল বাহিনীর ৬টি ইউনিট প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানায়, সিলেটের কৈলাস টিলা থেকে আশুগঞ্জ জাতীয় গ্রিড লাইনের মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী নোয়াগাঁও কৃষি জমির উপর দিয়ে যাওয়া গ্যাস সঞ্চালন পাইপ চিদ্র করে রোববার রাতের কোন এক সময় একটি সংঘবদ্ধ তেল পাচারকারী চক্র একটি লড়ি তেল বোঝাই করে মহাসড়কে উঠার সময় সাতবর্গ নামকস্থানে এসে লড়িটির এক্সেল ভেঙ্গে আটকা পড়ে। স্থানীয় লোকজন এ ঘটনাটি বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর ফাঁড়ি পুলিশকে অবগত করলে ফাঁড়ির টিএসআই সকালে ঘটনাস্থলে পৌছে। এসময় উৎসুক জনতা গাড়ির সামনে ভিড় জমান। পুলিশ চিদ্র করা পাইপ লাইন দেখতে গেলে এই ফাঁকে চোরাই তেল বাহী লড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছাড়িদিকে ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিাসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। এ সময় মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া থেকে বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পর্যন্ত ১০কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় যানবাহনে আটকা পড়া যাত্রীরা অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পরেন। প্রায় ৩ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জিটিসিএলের রামপুর থেকে আন্দিউড়া পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষিদের দায়িত্বে থাকা সুপার ভাইজার আল আমিন জানান, সকালে নিরাপত্তা কর্মী ধনু মিয়া বিষয়টি অবগত করলে আমি জিটিসিএল ও পেট্রোবাংলার উর্ধ্বতন কর্মকতাদের বিষয়টি জানাই। পরে তিনিসহ কয়েকজন গিয়ে তেলের চিদ্র করা লাইন দেখতে গেলে এই ফাকে কে বা কারা লড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।


     এই বিভাগের আরো খবর