,

বৃটেনের ইতিহাসে এই প্রথম জুমার নামাজের ঈমামতি করলেন একজন মহিলা

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন থেকে ॥ আমেরিকার পর এবারে বৃটেনে কোন মহিলা জুমার নামাজে ঈমামতি করলেন, ২০০৮ সালে আমেরিকায় আমেনা ওয়াদুদ নামের এক নারী চল্লিশ জনেরও বেশী একজামাতে ঈমামতি করেছিলেন। গেল ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার ইংল্যান্ডের একটি মসজিদে জুমার নামাজের ঈমামতি করলেন রাহেল রাজা নামের কানাডিয়ার এক নারী। জানা জায় তিনি একজন লেখকও বটে। যদিও ইসলামে মহিলাদের নামাজে ঈমামতি করার বিধান নেই তার পরেও পশ্চিমা দেশ গুলোতে এমন সব আজগবী ঘটনা ঘটছে। বৃটেনের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একজন নারীকে জুমার নামাজের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইন্ডিপেডেন্ট ইউকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ১০০ লোকের জামায়াতে রাহেল রাজা নামের এই নারী ইমামতি করেন। এই জামাতের আয়োজক ড. তাজ হারজির মতে, জামায়াতে নারী ও পুরুষের একসঙ্গে প্রার্থনা করা উচিত। যেখানে ইমামতি করবে একজন নারী। এমন হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে আসবে। এ ইমামতির ব্যাপারটি ইসলামের ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোতে অন্যান্য নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে একটি যৌথ জামায়াতে ইমামতি করতে পেরে গর্বিত রাহেল রাজা। তিনি বলেন, এটি তার জীবনের একটি গভীর অভিজ্ঞতা। এর আগে ২০০৮ সালে আমেরিকায় আমিনা ওয়াদুদ নামের একজন নারী জামায়াতে নামাজ পড়ানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য ৪০ জনেরও কম লোকের একটি জামায়াতে নামাজ পড়ান। তবে বৃটেনে এই পথম কোনো নারী ইমামতি শুরু করলেন তার চাকরি হিসেবে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী কোনো নারী নামাজে ইমামতি করতে পারেন না।


     এই বিভাগের আরো খবর