,

মাদ্রাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ এবার যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করেছে গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়া। শুধু তাই নয়! একগুচ্ছ চুলও কেটে দিয়েছেন তিনি। নিরুপায় ওই গৃহবধু দুটি অবুঝ শিশু নিয়ে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্র্তি রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের পীরের গাঁও গ্রামের মৃত ছইবুল্লাহর ছেলে গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে প্রেমের সূত্র ধরে কুষ্ঠিয়া (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) জেলার মালুয়া গ্রামের আব্দুল হাসেমের মেয়ে তাজলিমা আক্তার মিতা (২৫)কে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে এদের ১ ছেলে জয় (৩) ও ১ মেয়ে মোছাঃ জুুই (১) বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। শুরু দিকে দাম্পত্য জীবন সুখের হলে ৫/৬ বছর পরই শুরু হয় লেনদেন নিয়ে বাগ-বিত্তা। এ নিয়ে প্রায় সময়ই জগড়া বিবাদ লেগে থাকত। তাজলিমা আক্তার মিতার সংসার ঠিকাতে সকল যন্ত্রনা লাঞ্চনা সহ্য করে চলছে। অসহায় মেয়েটি। সম্প্রতি জাহাঙ্গগীর মিয়া মোটর সাইকেলর টাকা আনার জন্য স্ত্রীকে চাপ সৃষ্টি করে। তাজলিমা আক্তার মিতা অপরকথা প্রকাশ করলে শুরু করে মারপিট ও নিযার্তন। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় ভাবে বার বার বিচার সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারপরও জাহাঙ্গীরের কোন পরির্বতন নেই। গতকাল বুধবার দুপুরে মোটর সাইকেলের টাকার জন্য আবার স্ত্রী মিতাকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলে এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মিতাকে বেধড়ক মারপিট ও নিযাতর্ন করে ও তার মাথায় কেচি দিয়ে একগুচ্ছ চুল কেটে ফেলে। এ সময় তার ছোট ২টি শিশু আহত হয়। পরে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় মা ও শিশুটিকে চুনারুঘাট হাসপাতালে ১টা দিকে ভর্তি করে। উল্লেখ্য পূর্বেও জাহাঙ্গীর তাজলিমা আক্তার মিতার উপরে বিভিন সময় নির্যাতন করছেন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।


     এই বিভাগের আরো খবর