,

কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে দীঘলবাকবাসীর বিশাল মানববন্ধন

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, বনজসম্পদ, চাষাবাদযোগ্য ভূমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার উপাসনালয় ইত্যাদি বিলীন হয়ে গেছে। তারপরও কুশিয়ারা নদীর ধ্বংসলীলা রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে ঐতিহ্যবাহী দীঘলবাক গ্রামবাসীকে রক্ষা করতে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশাল মানববন্ধন করেছে দীঘলবাকবাসী। গতকাল সোমবার বিকেলে কুশিয়ারা নদীর তীরে হাতে হাত রেখে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দীঘলবাক এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- প্রবাসী কমিউনিটি নেতা সাজ্জাদুর রহমান আলা মিয়া, বিশিষ্ট লেখক ও কমিউনিটি নেতা আবুল কালাম আজাদ ছোটন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শাহ মনসুর আলী নোমান, নবীগঞ্জ প্রেসকাবের সহ- সভাপতি দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ, কমিউনিটি নেতা শেখ শামীম আহমদ, লেখক শহিদুজ্জামান, কমিউনিটি নেতা এখলাছুর রহমান, শাহানশা লিমনসহ অনেকেই। বিভিন্ন লেখা সম্ভলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার, ছাত্র, শিক্ষকসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। এছাড়াও মানববন্ধনে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই‘র জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এন টিভি‘র জেলা প্রতিনিধি হারুনুর রশীদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি ফজলুর রহমান, দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, ইন্ডিপেন্ডন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু ছালেহ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান চৌধুরী, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাশ সাগর, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি রাসেল চৌধুরী, জি টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ নুর উদ্দন, ইসলামিক টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফ চৌধুরী, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি এস এম সুরুজ আলী, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি ছানু মিয়া, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউপ সেলিম, বিবিয়ানার নির্বাহী সম্পাদক মুরাদ আহমদ, এন টিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু প্রমুখ। উল্লেখ্য, কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদী সভ্যতার প্রতীক হলেও কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর জন্য ধ্বংস ও ভয়ানক অভিশাপের প্রতীকরূপে বিরাজমান। তীরবর্তী এলাকাগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা হৃাস, ঘরবাড়ি, বনজসম্পদ, চাষাবাদযোগ্য ভূমি ও বসতবাড়ি ভাঙ্গন সমস্যা, বন্যার তান্ডবলীলায় ফসলহানি, নদীতে চর জাগা, নৌযান চলাচল বিপর্যস্থ, মৎস্য সম্পদের অভাব, কুশিয়ারার তীর সংরণে উদাসীনতা ও স্থানীয় জীবনযাত্রার নিম্নমান সেই ব্রিটিশ শাসন থেকে অব্যাহত আছে। কুশিয়ারা নদীর হিংস্র থাবায় ক্ষতিগ্রস্থ ও গৃহহীন হয়েছেন বারবার উত্তর নবীগঞ্জের দীঘলবাক, আহমদপুর, কুমারকাদা, গালিমপুর, মাধবপুর, ফাদুল্লা, মথুরাপুর, জগন্নাথপুর উপজেলার অটঘর, নোয়াগাঁও, রানীগঞ্জ, বানিয়াচং উপজেলার এক বিরাট জনগোষ্ঠী। জানাযায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা রোধ কল্পে সামান্যতম হলেও সরকারী নানা পদক্ষেপ, ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও সাহায্য সহযোগিতা করা হলেও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউপির জনগনকে কোন সরকারী সাহায্য, পুনর্বাসন করা হয়নি, এমনকি যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই ভাঙ্গনের তীব্রতা রোধ কল্পে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার ফলে উল্লেখিত জনপদের বিভিন্ন পেশার লোকজন চাষাবাদযোগ্য জমি, বাসগৃহ, বনজসম্পদ বারবার হারানোর বেদনায় এলাকার বাতাসে দুঃখ ও হতাশার করুণ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। উল্লেখিত ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের ফলে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে দীঘলবাক ইউনিয়নে বেকারত্ব , অশিক্ষা, দারিদ্রতা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীঘলবাক এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান কল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর