,

নবীগঞ্জে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা

মতিউর রহমান মুন্না ॥ এক পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার গভীর রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের মৃত ইসরাইল মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার সাথে প্রায় ৪ বছর পূর্বে একই গ্রামের ছনর মিয়ার কন্যা শেলী বেগম (২৫) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে কহল চলে আসছিলো। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাদের কলহ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সালিশ বসে। প্রায় ১ মাস পুর্বে শেলী বেগম স্বামীর সাথে ঝগড়া করে পিত্রালয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় মুরিব্বিয়ান বিষয়টি সমাধান করে শেলী বেগমকে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেন। গত রবিবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন শিপন ও শেলী বেগম। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী শেলী বেগমকে তার পাষন্ড স্বামী শিপন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে ত্যা করেছে বলে দাবী করছেন শেলীর পরিবারের লোকজন। সকালে শিপন মিয়ার ঘরের কোন লোকজনের সারা শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন বিছানার মধ্যে গৃহবধূর রক্তমাখা নিতর দেহ পড়ে আছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। শেলী বেগমের পিতা ছনর মিয়া ও মা সামছুন্নেহার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে শেলী বেগমকে তার স্বামী সব সময়ই মারধর করতো শিপন ও তার ভাইরা মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে। আমরা তার সঠিক বিচার চাই।’ এই কথা বলে তার বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। লাশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর