,

চার শিশু হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এসআই বরখাস্ত : ওসির বিরুদ্ধে সুপারিশ

আব্দুল হামিদ ॥ চার শিশু হত্যা মামলায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে বাহুবল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাজী জিয়া উদ্দিন বরখাস্ত ও ওসি (তদন্ত) আবদুর রহমানকে বরখাস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে এ সুপারিশ করা হয়। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তদন্ত কমিটির প্রধান শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চার শিশু হত্যার মামলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির যে অভিযোগ ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে বাহুবল থানার এস আই কাজী জিয়াউদ্দিনকে বরখাস্ত ও ওসি (তদন্ত) আবদুর রহমানকে বরখাস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ২২ ফেব্র“য়ারি পুলিশ সুপার এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগল, তার ছেলে জুয়েল ও রুবেল একই গ্রামের শাহেদ, সালেহ আহমেদ ছায়েদ, আরজু ও বশির নামে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা হবিগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে অভিযুক্ত জুয়েল, রুবেল, আরজু ও শাহেদ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া হত্যা মামলার আরেক আসামি অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত শিশুরা হলো ঃ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার পুত্র প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের পুত্র চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নুরাণী প্রথম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল কাদিরের পুত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। তাদের মধ্যে শুভ, মনির ও তাজেল একে অপরের চাচাতো ভাই। ১২ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় ওই চার শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্র“য়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে শিশুদের অপহরণের পর হত্যা করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর