,

নবীগঞ্জে যুবলীগ নেতা আজিজুল হত্যা মামলার ১৪ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট : ২১ মার্চ শোনানী

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা আজিজুল হত্যা মামলার পূনঃ তদন্তের ১৪ জনকে আসামী করে চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। আদালত মামলার চার্জশীট আমলে নিয়ে শোনানির জন্য আগামী ২১ মার্চ সময় নির্ধারন করেছে। বাদী পক্ষ এ মামলার সঠিক বিচার দাবি করে তারা পুলিশের পাঠানো চার্জশীটে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়ন কসবা গ্রামের যুবলীগের নেতা আজিজুল ইসলাম হত্যা মামলার পূর্ণ তদন্তের চার্জশীট দীর্ঘ ৯ মাস পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ধর্মজিত সিংহ হবিগঞ্জ আদালতে দাখিল করেছেন। উল্লেখ্য যে গত বছরের ৬ জুন ইনাতগঞ্জের বান্দের বাজার হইতে নিজ বাড়ী কসবা গ্রামে যাবার পথে নাদামপুর গ্রামের আবিদ উল্লার বাড়ীর পার্শ্বে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা নৃশংস ভাবে খুন হয় যুবলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম (২৮)। মামলার বিবরণে জানা যায়, কসবা গ্রামের ২০১৩ সালের চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার অন্যতমও পলাতক আসামী ফারুক মিয়া কে গ্রেফতার করতে গত বছরের ৫ জুন র‌্যাব-৯ এর এএসপি মঈন উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল র‌্যাব সদস্য নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ট্রিপল মার্ডার মামলার বাদী ইকবাল হুসেনের চাচাতো ভাই এবং মামলার সাক্ষী আজিজুল ইসলাম আসামীদের গ্রেফতারের সময় র‌্যাবের সদস্যদের সাথে ছিলেন। এ সময় ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। ফারুক মিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তার লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন ০৬/০৬/১৫ইং তারিখে ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী মাহমুদ বক্স ও নঈম উদ্দীনের নেতৃত্বে তফাজ্জুল হুসেন, ময়ুর হুসেন, শাহিন মিয়া, রিয়াদ আহমেদ, রাসেল মিয়া, বাবলু আহমেদ, সয়দুল মিয়া, আলী আকবর মান্না, রুমন মিয়া, মাশা মিয়া, তহির উদ্দিন সহ কয়েকজন ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব সদস্যদের সহযোগীতা করায় যুবলীগ নেতা আজিজুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে খুন করে। পরে নিহত আজিজুল ইসলাম এর চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ১৬ জনকে আসামী করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল বাতেন খাঁন এই হত্যাকান্ড মামলাটির তদন্তের জন্যে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই ধমর্জিত সিংহা কে দায়িত্ব দেন। আজিজুল ইসলাম খুনের পর একমাস পলাতক থাকা আসামী তফাজ্জুল হুসেন কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় এ খুনের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। দীর্ঘ ৯ মাস তদন্তের পর গত ২৮শে ফ্রেব্র“য়ারী মাহমদ বক্স, নঈম উদ্দিন, তফাজ্জুল হুসেন, ময়ুর হুসেন, শাহিন মিয়া, তহির উদ্দিন, রিয়াদ আহমেদ, রাসেল আহমেদ, আলী আকবর (মান্না), বাবলু মিয়া, সয়দুল মিয়া, রুম্মন মিয়া, মাশা মিয়া ও আমিন মিয়া কে আজিজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্ত হবিগঞ্জ আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। উক্ত হত্যা মামলায় এফ,আই,আর ভূক্ত অন্য আসামী ইকবাল হুসেন (একবার), সাইফুল ইসলাম, শ্যামল আহমেদ ও নুরুল মিয়াকে তদন্তে চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি নবীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বাতেন খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই হত্যা মামলার তদন্তে সঠিক ভাবে প্রকৃত খুনীদেরই আসামী করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়নি তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এই আলোচিত মামলার চার্জশীট বিলম্ব কেন..? এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জনাব আব্দুল বাতেন খাঁন বলেন মামলার সঠিক তদন্ত করে কোন নির্দোষ ব্যক্তি এমন একটি নিষ্টুর হত্যাকান্ডে যেন ফেঁসে না যায় সেই দিকে খেয়াল রেখে প্রকৃত খুনীদের যেন সত্য স্বাক্ষ্য প্রমানে আইনের কাঠগড়ায় নিয়ে আসা যায় এর জন্যেই চার্জসিট দাখিল করতে বিলম্বের প্রধান কারণ বলে জানান


     এই বিভাগের আরো খবর