,

ভূয়া মোতাওয়াল্লী আব্দুল হামিদ কর্তৃক ফকির বাড়ীর খাদিম পক্ষের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কুরেশী (রহ:) মাজার শরীফের খাদিম পক্ষের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন মাজারের খাদিম পক্ষের লোকজন। অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (রহ:) মাজার হওয়া কালীন সময় হইতে মাজারের শরীফের খাদিমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শাহ কদর আলী সহ ফকির বংশের লোকজন। সে মোতাবেক এস.এ রেকর্ড এ উক্ত মাজার শরীফের ২ একর ১৪ শতক ভূমি মাজারের খাদিম হিসাবে শাহ কদর আলী বাপ চাচা ও বংশধরদের নামে এস.এ খতিয়ান নং ১২৯, দাগ নং- ১২৩ মৌজা- নিজ চৌকি, জে.এল.নং- ১৫৩, উপজেলা নবীগঞ্জের রেকর্ডভূক্ত হয়। শাহ কদর আলীর লোকজন বংশানুক্রমে মাজার শরীফের খেদমত রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ণ আশেকানদের শিরনী গ্রহণ ও শিরনী বিতরণ বাৎসরিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওরস মোবারক পালন করিয়া আসিতেছেন। তাই তিন বৎসর যাবত পার্শ্ববর্তী করাখাল গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হামিদ চৌধুরী হযরত শাহ তাজউদ্দিন (রহ:) মাজার শরীফের ভূয়া মুতায়াল্লী সেজে লিফলেট, পোষ্টারিং গেইট তোরণ বানিয়ে নিজেকে স্বঘোষিত মুতায়াল্লী দাবী করে আসছেন। এমনকি উক্ত মাজার শরীফে ২ একর ১৪ শতক ভূমি তার নিজ নামে রেকর্ড ও দখল করার পায়তারা করতেছেন। চলতি সেটেলমেন্ট জরিপের সময় সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে সেটেলমেন্ট অফিসারকে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে প্রবাহিত করে ২০০৭ইং ২৯৭৮নং দলিলে আব্দুল হামিদ চৌধুরী ও তাহার ভাইয়ের নামে রেকর্ড করিয়েছেন। মাজারের খাদিম ও তার বংশের লোকজন ২৯৭৮নং দলিলের জন্য হবিগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার অফিসে ব্যাপক তাল্লাশি করার পরও আজ পর্যন্ত ঐ দলিলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। হবিগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস তাদেরকে লিখিত আকারে একটি রিসিট প্রদান করেন যাহাতে উল্লেখ রয়েছে ২০০৭ ইং সনে ২৯৭৮নং দলিল নবীগঞ্জ উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে রেজিষ্ট্রার হয় নাই বলে প্রতীয়মান হয়। আব্দুল হামিদ চৌধুরী ও তাহার ভাইয়ের নামে মাজার শরীফের জায়গা রেকর্ড করার খবর পেয়ে স্থানীয় আট গ্রামের ময়মুরুব্বীয়ান ও জনপ্রতিনিধিরা তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে কয়েকবার শালিস বৈঠকে বসেও আজ পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয় নাই। রেকর্ড সংশোধন করানোর জন্য শাহ মোঃ আশক আলী, শাহ ছেরাগ আলী গংরা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ বিচারক ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুানালে মামলা নং- ১৫৫/২০১৫ইং দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা করার কারণে আব্দুল হামিদ চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকায় তার একটি নিজস্ব লাটিয়াল বাহিনী গঠন করে বাদী পক্ষের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসতেছে। মাজারের ২ একর ১৪ শতক ভূমি দখল। মাজার শরীফের খাদিম পক্ষের লোকজনকে দায়িত্ব থেকে উচ্ছেদ করতে যেকোন সময় প্রাণহানী এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিদ্যমান। এনিয়ে ফকিরবাড়ীর উদ্যোগে বিগত কয়েকদিন পূর্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল মামলা চলন্ত অবস্থায় পদবী ব্যবহার না করার জন্য দুই পক্ষকেই আহ্বান জানানো হয়। আব্দুল হামিদ চৌধুরী তা অমান্য করে বিগত ওরস মোবারকের কয়েকদিন পূর্বে রাতের আধারে মাজারের গেইটে মোতায়াল্লী পদ লিখে গেইটের পিলারে আস্তর করে নেইম প্লেইট লাগিয়ে দেন। খাদিম পক্ষের লোকজন নেহায়েত গরীব হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তার নিকটাত্মীয় স্বজন দিয়ে খাদিম পক্ষের লোকজনের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসতেছে আব্দুল হামিদ চৌধুরী। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অযথা নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে এলাকার ময়মুরুব্বিয়ান যুব সমাজের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোন সময় আব্দুল হামিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে পারেন এলাকাবাসী। তার এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফকির বাড়ীর খাদিম পক্ষের লোকজন নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর