,

আজ ২২ মার্চ নবীগঞ্জে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ২২ মার্চ রবিবার নবীগঞ্জে মহান স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস। প্রতি বছরই ওই দিনটি অনেকটা নীরবে অতিবাহিত হয়। মাঝে মধ্যে মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী তৎকালীন ছাত্রনেতা আব্দুর রউফ উক্ত দিবসটি উদযাপন করে আসছেন। গেল বছর ঝাকজমকপূর্ণ ভাবে দিবসটি উদযাপিত হলেও এ বছর কোন অনুষ্ঠানের খবর পাওয়া যায়নি। ১৯৭১ সালের এই দিনে সকাল ১০ টায় নবীগঞ্জের ডাকবাংলো প্রাঙ্গনে তৎকালীন ছাত্রলীগ ঢাকা মহাখালী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রউফ সঙ্গীয় সহযোদ্ধাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ২৩ মার্চ সারা দেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের ঘোষনা থাকায় সহপাটিসহ জাতীয় পতাকা সাথে নিয়ে নবীগঞ্জে আসি। এবং মরহুম জননেতা আব্দুল আজিজ চৌধুরীর বাসভবনে বসে নবীগঞ্জে ২২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী নবীগঞ্জের ডাক বাংলোয় পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেই ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছিল। ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তৎকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন ডাঃ নিম্বরুর রহমান চৌধুরী, আলহাজ্ব হিরা মিয়া, আব্দুস ছুবান মাষ্টার, আব্দুল হক চৌধুরী, আব্দুস ছালাম, রামদয়াল ভট্রার্চায্য, আজিজুর রহমান ছুরুক মিয়া, চারু চন্দ্র দাশ, মাষ্টার আব্দুল মতিন চৌধুরী, মিহির কুমার রায় মিন্টু ও আবু ছালেহ চৌধুরীসহ অনেক নেতৃবৃন্দ। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাই বলে দাবী করেন। তিনি তাদের নাম অন্তভুক্তির দাবী জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর