,

নবীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপের সাংবাদিক সম্মেলন- ভূয়া বীরাঙ্গনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল খায়ের গোলাপকে হয়রানী করতে তারই নির্বাচনি প্রতিদ্ধন্ধি ও চাচাত ভাই শাহ নেওয়াজ ১৪ বছরে শতাধিক মামলা দায়ের করেছেন। সর্বশেষ তাকে যুদ্ধাপরাধী বানাতে একাধিক মামলা করেও কিছু করতে না পেরে অবশেষ এক বৃদ্ধ মহিলাকে মিথ্যা বীরাঙ্গনা সাজিয়ে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধীর মামলা দাযের করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল খায়ের গোলাপ এই তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি মামলার বাদীর আপন ভাই বোনসহ এলাকার অন্তত অর্ধশতাধিক বয়স্ক মুরুব্বিদেরকে হাজির করেন এবং বলেন, যুদ্ধের সময় তিনি ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। নির্বাচনে যাতে তাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না দেয়া হয় এবং তার জন্য একের পর এক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ছাউনি বিবি (সুকুরী) যুদ্ধের সময় মৌলভীবাজারে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে তার গ্রাম থেকে আসা মুরুব্বি ও মিথ্যা বীরাঙ্গনা মহিলার আত্মীয়-স্বজনও স্বাক্ষ্য দেন। আবুল খায়ের গোলাপ বলেন, তার চাচাত ভাই শাহ নেওয়াজ এর ৬ ভাই ছিলেন। কিন্তু আমি আমার বাবার এক মাত্র ছেলে। শাহ নেওয়াজের ছেলে রাসেল এর নেতৃত্বে দিনারপুর পরগনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। রাসেল কিছুদিন পূর্বেও নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে ছিল। তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার বাড়ী দখল ও অস্ত্র মামলাসহ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে। দেশে এমন কোন কু-কর্ম নেই যে তা রাসেল করতে পারেনা। সব ধরনের অপরাধে রাসেল এগিয়ে রয়েছে। আবুল খায়ের গোলাপ বলেন, তারা তাকে শুধু মামলা দিয়েই হয়রানী করেনি। বরং দুই বার গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। শাহ নেওয়াজের পিতা মাষ্টার সাজিদ আলী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পিছ কমিটির ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। শাহ নেওয়াজের পিতা সাজিদ আলীর সহযোগীতায় পাঞ্জাবী বাহিনী এলাকার অনেক মানুষ হত্যা ও ঘর বাড়ি পুড়ায়। এর সাথে শাহ নেওয়াজও জড়িত ছিল। শাহ নেওয়াজ ও তার পুত্র সন্ত্রাসী রাসেল এসব অপকর্ম ডাকতে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান গোলাপ আরোও বলেন, ২০০৯ সালেও গেদু মিয়াকে বাদী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধীর মামলা দাযের করায় শাহ নেওয়াজ। কিন্তু এতো ষড়যন্ত্র করেও এলাকার জনগন থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমায় ভালবেসে আমাকে বিপুল ভোটে ২য় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এবং ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতিও নির্বাচিত করেন। তিনি বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের সাথে কাজ করে আসছি। তিনি আরও বলেন, সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী, সাবেক এমপি ও সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর উদ্দিন (বীর প্রতিক) তাকে যুদ্ধাপরাধী নয় বলে প্রত্যয়ন দিয়েছেন। তার পিতা ৫৬ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তহবিল সংগ্রহ করেছেন। শাহ নেওয়াজের প্ররোচনায় আমার পিতা ও আমাকে রাজাকার বানানোর চেষ্টা চলছে। কোন কমান্ডার এর স্বাক্ষরসহ যদি আমাকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করা যায় তার জন্য আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি এ ব্যাপারে দিনারপুর পরগনার ১ লাখ ২০ হাজার জনগনকে স্বাক্ষী মানেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আজিজ (৬৫), কলসুম বিবি (৬৭), রাহেনা পারভিন (৬২), গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি মনিন্দ্র লাল রায় (৭৫), রাখেশ রায় (৭০), বিজন রায় (৬৮), গৌরা পদ রায় (৬২), আকল মিয়া (৯০), মোবারক আলী (৮৫), মকসদ আলী (৮০), আছকর উল্লাহ (৭৫), আছিম উল্লাহ (৯৫), আকল আলী (৭০), একরাম উল্লাহ (৮৫), আব্দুল মন্নান (৭৬), ছুরত আলী (৭০), তাজুল ইসলাম (৭৪), আব্দুল খালিক (৬৮), মিছলু মিয়া, আইয়ুব আলী, আলাউর রহমান চৌধূরী, মোবারক হোসেন, বরাত আলী, মসুদ মিয়া, বকুল মিয়া, সালাউদ্দিন, এম.এ.মুহিত, আক্তার মিয়া, সাবেক মেম্বার জাহেদ আলী, ফরিদ মিয়া, এলাইছ মিয়া, জলাল মিয়া, টনু মিয়া প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর