,

বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে হট্রগোল ভোটারের হাতে শিক্ষা অফিসার লাঞ্চিত ॥ নির্বাচন স্থগিত

আকিকুর রহমান সেলিম ॥ বানিয়াচং উপজেলার বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার শুকরানা জোরপূর্বক ভোটারের কাছ থেকে সীল প্রয়োগ করতে যেয়ে ভোটারের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। পরে উপস্থিত জনতার মধ্যস্থতায় নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহন স্থগিত করে আগামী ১১ই এপ্রিল প্রতীক বরাদ্ধ দিয়ে লিখিতভাবে ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার মুরুব্বীয়ানদের কাছে সমঝিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার তার কর্মকর্তাদের নিয়ে স্কুল ত্যাগ করেন। সুত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০ ঘটিকায় বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একটানা প্রায় দেড়ঘন্টা ভোট চলার পর আতাউর রহমান নামের একজন ভোটার অভিভাবক প্রতিনিধি ইয়াওর মিয়াকে ভোট দেয়ার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার শুকরানাকে বলে। তখন প্রিজাইডিং অফিসার ইয়াওর মিয়াকে ভোট না দিয়ে ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি অভিভাবক পদে প্রতিনিধি ফরিদ আহমদের নামে সীল মারে। তখন ওই ভোটার কাউছার শুকরানার কাছ থেকে ব্যালেট পেপার ও সীল ছিনিয়ে আনে। এসময় উত্তেজিত ভোটাররা প্রিজাইডিং অফিসারকে কিলঘুসি মারতে থাকলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির্গের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপস্থিত ভোটারদের রোশানল থেকে বাঁচতে প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার শুকরানাকে প্রায় ৩ ঘন্টা একটি কক্ষে বন্ধ করে রাখা হয়। পরে কাউছার শুকরানা তার ভুলের জন্য উপস্থিত মুরুব্বীয়ানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আর জীবনে এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হবে না বলে অঙ্গীকার করেন। পরে সকলের উপস্থিতিতে কাস্টিং ভোটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সীলগালা করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর