,

বাহুবলে হচ্ছে পরিকল্পিত প্রাইভেট ইকনোমিক জোন

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে একটি মহলের তৎপরতার জন্য ইকনোমিক জোন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও বাহুবল উপজেলায় প্রাইভেট ইকনোমিক জোন স্থাপনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। বরং পরিকল্পিতভাবে তৈরি হবে এই ইকনোমিক জোন। ফলে আসবে বিদেশী বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান হবে ২০ থেকে ৩০ হাজার লোকের। এই জোনে উৎপাদিত পণ্য দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানী করা হবে। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রাইভেট ইকনোমিক জোন। সুত্রে জানা যায়, দেশের প্রখ্যাত শিল্প উদ্যোক্তা আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন ইস্ট কোস্ট গ্র“প সম্প্রতি বাহুবল উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ৫০ একর ভূমি ক্রয় করে সেটিতে প্রাইভেট ইকনোমিক জোনে করার জন্য একটি প্রস্তাবনা ইকনোমিক জোন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে। বেজার প্রাথমিক নির্বাচন কমিটি গত বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়। পরিকল্পনায় সেখানে আরও ১শ একর ভূমি ক্রয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে প্রকল্পের এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সচিব পবন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেজার সোস্যাল স্পেশালিস্ট আব্দুল কাদের খান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুকন উদ্দিন, বাহুবল উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল ইসলাম। বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, জুন মাসে চুনারুঘাটে শুরু হওয়ার কথা ছিল ইকনোমিক জোনের কাজ। ৬ মাসের মাঝে সেখানে শিল্প কারখানা চারু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চা শ্রমিকদেরকে ভুল বুঝিয়ে সেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। হবিগঞ্জের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাহুবলে ইস্ট কোস্ট গ্র“প প্রাইভেট ইকনোমকি জোন করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এখানে বিদেশী বিনিয়োগ আসবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেজার সোস্যাল স্পেশালিস্ট আব্দুল কাদের খান জানান, বেজার প্রাথমিক নির্বাচন কমিটি (যার প্রধান বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান) যেহেতু প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে তাই বাহুবলে প্রাইভেট ইকনোমিক জোন হওয়া সময়ের ব্যাপারে। ইকনোমিক জোনের জন্য প্রয়োজন গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানি। এখানে সব কিছই আছে। এখন পরিবশেগত সমীক্ষাসহ বিভিন্ন সমীক্ষার পর এক বছরের মধেই বাহুবলে ইকনোমিক জোন চুড়ান্ত অনুমোদ পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরও জানান, এক শ্রেণির দেশের উন্নয়ন বিরোধী লোক চুনারুগাটে ইকমোনিক জোন নির্মানের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। এতে করে হবিগঞ্জ অনেক পিছিয়ে পড়বে। ইস্ট কোস্ট গ্র“পের সিইও মাসুদুর রহিম জানান, বাহুবলে হবে পরিকলপিত প্রাইভেট ইকনোমিক জোন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য বিদেশী কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সাটাইল ও কনজ্যুমার আইটেম উৎপাদন হবে। যা অভ্যন্তরীন চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানী করা হবে। এখানে বিনিয়োগের জন্য বিদেশী উদ্যোক্তাদের আহবান জানালে ইতোমধ্যে জাপান, সিঙ্গাপুর ও চীনের উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি আরও জানান এখানে ২০ থেকে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম জানান, হবিগঞ্জে গ্যাস, বিদ্যুৎ, কাচামাল আর শ্রমিকের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে এখানে বিনিয়োগের ভাল পরিবশে রয়েছে। বাহুবলে এই সুবিধাকে কাজে লাগাইে হচ্ছে প্রাইভেট ইকনোমিক জোন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, বাহুবলে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এখানে প্রাইভেট ইকনোমিক জোন হলে যেমন উদ্যোক্তা লাভবান হবেন তেমনিভাবে স্থানীয় লোকজনও উপকৃত হবে। তিনি প্রাইভেট ইকনোমিক জোনে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবী জানান। বাহুবল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বাহুবলে গ্যাসের সু-ব্যবস্থা রয়েছে, প্রাইভেট ইকোনমিক জোন হলে বাহুবলে অনেক বিনোয়গ বাড়বে। সময়ের ব্যপার মাত্র।


     এই বিভাগের আরো খবর