,

ভাইয়ের কাছ থেকে প্রবাস জীবনে কষ্টার্জিত সম্পদের ভোগ দখল পেতে বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের কাছে নবীগঞ্জের এক বৃটেন প্রবাসীর আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাইয়ের কাছ থেকে প্রবাস জীবনে কষ্টার্জিত সম্পদের ভোগ দখল পেতে প্রসাশনের সহযোগীতা চেয়ে বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন ম্যানচেষ্টারের বরাবরে আবেদন করেছেন নবীগঞ্জের গুলডোবা গ্রামের বৃটেন প্রবাসী সাহিদুল ইসলাম শাহীন। গত ১ মার্চ তিনি এ আবেদন করেন। আবেদনের অনুলিপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কমৃ সংস্থান মন্ত্রনায়ল, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন জীবিকা তাগিদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৃটেনের গ্রেটার মানচেষ্টার ওল্ডহামে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার মা-বাবা ছোট রয়েছেন। বড় ভাই আমিরুল ইসলাম মজনু নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের হাজী রিফাত মঞ্জিলে বসবাস করে আসছেন। বৃটানে বসবাসের সুবাধে জীবনের সমস্থ সঞ্চল দিয়ে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানি রোডে বাসার জায়গা প্লটসহ অন্যান ভু সম্পত্তি ক্রয়ে তিনি বিনোয়াগ করেন। তার ক্রয়কৃত বাসার জায়গা মোট ৭টি প্লটের মধ্যে ২টিতে বিল্ডিং বানানো, ২টিতে কলোনী হাউজ, ১টিতে বিস্কুট ফ্যাক্টরী রয়েছে। অন্য দুটি প্লট খালি রয়েছে। এগুলো থেকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। তার নিজের ক্রয়কৃত সম্পতি দেখা শোনা করে তার বড় ভাই আমিরুল ইসলাম মজনু। সেই সাথে মজনু কাছে তার ১৬ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ী রয়েছে। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইংল্যান্ডের সমস্ত সঞ্চয় দেশে নিয়োগ করেছি। বর্তমানে বিলেতে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে তিনি বড় ভাই আমিরুল ইসলাম মজনুকে তার সম্পত্তি থেকে প্রতি মাসের আয়ের একটি অংশ তার একাউন্টে জমা রাখা দাবি জানান। কিন্তু মজনু কোন কর্ণপাত করেনি। বরং ভাড়ার অর্থ তাকে দেয়া যাবে বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি নিজের সঞ্চয়ের ৪ ভাগে এক ন্যায্য পাওনা ৬কোটি টাকা সম্পত্তি আদায় করে দেয়ার কথা বললে মজনু তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে আমার বির“দ্ধে বেষেধাগার করেন। এছাড়াও কোন সম্পদ পারব না বলে তিনি জানিয়ে দেন। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন ইদানিং টেলিফোনে তাকে আমিরুল ইসলাম মজনু প্রানাশের হুমকি দিয়ে আসছে। দেশে আসলে লাশ হয়ে ফিরবে বলে হুমকি মজনু বলে তিনি জানান। এতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীন ভুগছেন। এমনতাবস্থায় নিজের জীবনের সমস্থ সঞ্চয় এবং প্রাণনাশের হুমকির শংকার উদ্ধেগের তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে নিজেকে রক্ষার অবশেষে বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের বরাবরে আবেদন করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর