,

হবিগঞ্জে গ্রাম্য রাজনীতির যাতাঁকলে পড়ে আতঙ্কে ভিটেছাড়া ৬১ পরিবার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জে গ্রাম্য রাজনীতির ক্ষমতার লড়াইয়ের যাতাঁকলে পড়ে ভয়ে-আতঙ্কে ভিটেছাড়া ৬১ পরিবার। পুলিশ বলছে, সচেতনতা ছাড়া এসব দাঙ্গা-হাঙ্গামা বন্ধ করা সম্ভব না। একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় হামলা-মামলা অতপর ঘরছাড়া হবিগঞ্জের চারিনাও গ্রামের ৬১ পরিবার। কারো ছেলে আবার কারো স্বামীর খোঁজ নেই। নিরাপত্তার আতঙ্কে অনেকেই ভিটে-মাটি ছাড়া। দুই পঞ্চায়েতের আধিপত্যের লড়াইয়ে সহিংসতা এতটাই দানা বেধেঁছে যে, কাটা হচ্ছে গাছ, মেরে ফেলা হচ্ছে পুকুরের মাছ। আছে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি মামলা। পাঁচ ফেব্র“য়ারি নদী থেকে মাটি উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান জহুর আলী নামে এক পঞ্চায়েত প্রধান। গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, দুই পক্ষের সংঘর্ষ আটকাইতে গেছিল জহুর আলী। এ ঘটনার পর মামলা করেছে দুপক্ষ। তবে মামলা করেই ক্ষান্ত নয় তারা। প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি হামলা-লুটপাট করে উভয়েই। গ্রামটির দুই পঞ্চায়েতের মধ্যে রাজায় রাজায় লড়াইয়ে উলুখাগড়া হয়ে কাটা পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অসহায় গ্রামবাসীরা বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি-ঘর ভাইঙ্গা-চুইরা শেষ কইরা দিছে। আমাগো আর কিছু নাই। আমরা ছেলে-মেয়েরে কিভাবে পড়াশুনা করাব? গরু-বাছুরসহ আমাগো সবকিছু ছিনাইয়া লইয়া গেছে। একজন অসহায় মা বললেন, আমার তিনটা বাচ্চা নিয়া আমি কই যাব?’’ হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.নাজিম উদ্দীন বলেন, চারিনাও গ্রামে দু’পক্ষের নানাবিধ কারণে বিরোধ দীর্ঘদীনের। সামাজিক উদ্যোগ ছাড়া শুধু প্রশাসনের তৎপরতায় বন্ধ করা যাবে না এ দ্বন্দ। স্থানীয় নেতৃত্ব, গণমান্য ব্যক্তি যারা আছেন তারাই চেষ্টা করে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।


     এই বিভাগের আরো খবর