,

বানিয়াচংয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় রাতভর ধাওয়া পাল্টা দাওয়া

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং ১নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ এনে ফেইসবুকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হারুন মিয়া ও যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির জের ধরে গভীর রাত পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া মিছিল পাল্টা মিছিল ও দোকান পাট ভাংচুর লুটপাট করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় বড়বাজারে মিজানুর রহমান খানের সমর্থকরা আওয়ামীলীগ-যুবলীগের যারা নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। রাত সাড়ে ১০টায় আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি হারুন মিয়া যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমানের লোকজন ফেইসবুকে কটুক্তির অভিযোগ এনে বড়বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা কলেজ ছাত্রলীগ সেক্রেটারী মাসুদ মিয়ার দোকানে ইটপাটকেল ছুড়েন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় কলেজ ছাত্রলীগ সেক্রেটারী মাসুদ মিয়ার নেতৃত্বে ওই এলাকার একিট অত্যাধুনিক মোবাইলের দোকান লুমা টেলিকমের প্রবেশ করে হামলা চালানো হয়। এসময় কয়েক লক্ষ টাকার মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট হয়। লুমা টেলিলকের সত্ত্বাধিকারী ও নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন মিয়ার জামাতা এনামুল জানান, হারুন মিয়া গিয়াস উদ্দিন মিয়া আমার আত্মীয় হওয়ায় ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জন লোক আমার দোকানে হামলা চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন তার নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ টাকার মোবাইল সামগ্রী লুটপাট হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোকজন বড়বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে শ্লোগান ছিল সাহিবুরের বহিস্কার চাই। পরে শহীদ মিনার চত্তরে তারা প্রতিবাদ সভা করেন। এদিকে রাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিছু কিছু স্পর্শ কাতর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানান দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা। তবে যেকোন সময় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে দাবী করে এলাকাবাসী জানান তারা আতংকে রয়েছেন। উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল বানিয়াচং উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ৩য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদরের ৩ ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে নাই। তবে বাকী ১১টির মধ্যে ৯টিতেই আওয়ামীলীগ বিজয় লাভ করে। ১নং ইউনিয়নে বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান খান পরাজিত হন। এর কারণ হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতা হারুন মিয়া ও যুবলীগ নেতা সাহিবুর রহমানকে দায়ী করে ফেইসবুকে বিরুপ মন্তব্য সহকারে কটুক্তি করা হয়। এছাড়া ২ দিন ব্যাপী প্রকাশ্যে তাদের বহিস্কারের দাবীতে মিছিল মিটিং করেন আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর