,

বিছানায় যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় নয়টি কাজ

সময় ডেস্ক ॥ নানা বদঅভ্যাসের কারণে আমাদের ঘুমের তারতম্য হয়। অনেকেই ঠিকভাবে জীবনযাপন না করায় ঘুমের সমস্যাসহ নানা সমস্যায় এসব বদঅভ্যাস ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস গড়লে তাতে আপনার জীবনের মান উন্নত হবে। এ লেখায় থাকছে ঘুমের আগে করণীয় তেমন নয়টি কাজ, যা নিয়মিত করলে আপনার জীবন উন্নত হবে। ১. জীবন উন্নত করার বই পড়–ন; জীবন উন্নত করার নানা বই বাজারে পাওয়া যায়। ভালো লেখকের এমন বই কিনে পড়–ন। আপনি যদি ফ্যান্টাসি, উপন্যাস ইত্যাদি পড়েন তাহলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘুম নাও আসতে পারে। কিন্তু জীবন উন্নত করার বই পড়লে তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে না। ২. ব্রাশ ও ফ্লস; ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা ও ফ্লস করা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। অস্বাস্থ্যকর দাঁত আপনার শুধু মুখেরই নয়, সমগ্র দেহের স্বাস্থ্যের ওপরই বাজে প্রভাব ফেলে। মুখ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তা আপনার হৃৎপিন্ড ও হজমের গন্ডগোল ডেকে আনতে পারে। ৩. আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি; পরদিন আপনার যা যা করতে হবে, তার একটা প্রস্তুতি রাতেই নেওয়া উচিত। যদি সকালে কোথাও যেতে হয় তাহলে কোন কোন পোশাক পরতে হবে তা আগেই ঠিক করে নিন। ৪. স্ট্রেচ; সুস্বাস্থ্যের জন্য স্ট্রেচ করা ভালো। আর এতে আপনার হাড়ের সংযোগস্থলের উপকার হবে ও দেহের নমনীয়তা বাড়বে। এ ছাড়াও ভালো ঘুম আনতেও স্ট্রেচ সহায়ক। ৫. বিছানায় যান ১৫ মিনিট আগে; পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অনেকেই নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়েন। এ সমস্যা কাটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিট আগে বিছানায় যান। ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক হবে। ৬. ঘুমের পোশাক পরুন; দিনের অন্য কাজের সময় যে পোশাক পরেন তা ঘুমের সময় পরবেন না। ভালো ঘুমের জন্য পরিষ্কার আরামদায়ক পোশাক পরে নিন। ৭. মেকআপ উঠিয়ে ফেলুন; দিনের বেলা আপনার মুখে যেসব মেকআপ ব্যবহার করেন রাতে সেগুলোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এগুলো মুখে থাকলেই বরং নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ত্বকের সুস্থতার জন্য এগুলো ঘুমানোর আগেই তুলে ফেলুন। ৮. সন্তুষ্টির কথা লিখুন; ঘুমানোর আগে আপনার যেসব বিষয়ে সন্তুষ্টি রয়েছে তা একটি কাগজে লিখে ফেলুন। প্রতি রাতে যদি নিয়মিত এ কাজটি করতে পারেন তাহলে তা আপনার মানসিক সন্তুষ্টি অনেক বাড়িয়ে দেবে। ৯. ধ্যান; ধ্যান দেহ ও মনের প্রশান্তি আনে। আর ঘুমানোর আগে ধ্যান করা হতে পারে আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে ভালো ঘুম আনার একটি অসাধারণ উপায়। এতে স্মৃতিশক্তি ও ইতিবাচকতা বাড়বে এবং উদ্বেগ কমবে।


     এই বিভাগের আরো খবর