,

নিজামীর ফাঁসি কার্যকর

সময় ডেস্ক ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির ফাঁসির সময় নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে নিজামীর স্বজনরা তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাত করেন। নিজামীর পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বের হয়ে যাবার কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান আজ রাতেই নিজামীর ফাঁসি হচ্ছে। তার পর ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির মোহাম্মদ আজিম ও ডিএমপির এক প্রতিনিধিদল কারাগারে প্রবেশ করে। নিজামীকে তওবা পড়াতে কারাগারে ঢোকেন ইমাম। এরপর পরই কার্যত নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজের পর কাশিমপুর কারাগারে তার পরিবারের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতেও নিজামী প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। তার পরিবারের বরাত দিয়ে আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বলেছেন, জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। কারও কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, নিজামী প্রাণভিক্ষা চাননি। ফলে ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার। মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছে প্রধান জল্লাদ রাজু। মঙ্গলবার সকালে নাজিমুদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চারপাশে র‌্যাব, পুলিশ ও কারারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে কারাগার এলাকায় অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার পর থেকে কারাগারের প্রধান ফটকে গণমাধ্যমকর্মীদের ভীড় বাড়ে এবং টেলিভিশনগুলোতে নিউজ আপডেট দিতে দেখা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন নিজামী। গত ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগ মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখলে রিভিউ আপিল করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রিভিউ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।


     এই বিভাগের আরো খবর