,

নবীগঞ্জে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা : ৪টি ইউনিয়নে দফায় দফায় সংষর্ঘে আহত প্রায় দেড় শতাধিক ॥ এলাকায় উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতার জের ধরে ৪টি ইউনিয়নের পৃথক পৃথক স্থানে দফায় দফায় সংষর্ঘে পরাজিত চেয়ারম্যানসহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল এবং গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাগুলো ঘটেছে রবিবার উপজেলার আউশকান্দি, করগাঁও, নবীগঞ্জ সদর ও গজনাইপুর ইউনিয়নে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে আউশকান্দি ইউনিয়নের মংলাপুর গ্রামে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা আহমেদ বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে আজলপুর গ্রামের প্রবাসী জয়তুন মিয়া একটি মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে যাওয়ার সময় মোস্তফা আহমেদের লোকজন বাঁধা দেয়। এরই জের ধরে প্রবাসী জয়তুন মিয়ার লোকজন তাদের গ্রামের মাইকে প্রতিরোধ করার ঘোষনা দিলে মুহুর্তের মধ্যেই স্ব স্ব লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে ঘটনাস্থলেই প্রায় ৭০ জন লোক আহত হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এছাড়া ওই ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা ডাঃ আজিজুর রহমান নৌকার পক্ষে কাজ করায় তার বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়। এদিকে, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামে দু’মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন লোক আহত হয়। এছাড়াও, গজনাইপুর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল খায়ের গোলাপ রবিবার দুপুরে তার নিজ গ্রাম মামদপুরে এক ইউপি সদস্যের নিকট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলাপচারিতার সময় অপর পক্ষের লোক আব্দুল আহাদ নামের এক যুবক উপস্থিত হয়। উভয় পক্ষের কথারকাটির সময় আব্দুল আহাদ চড়াও হয়ে আবুল খায়ের গোলাপ এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন। এরই জের ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ২য় দফায় সংর্ঘষবাধে। এসময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। একই ইউনিয়নের যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম সেলিম এর নির্বাচনী বিলবোর্ড ভাংচুর ও তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেছেন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল এর কর্মী সমর্থকরা।


     এই বিভাগের আরো খবর