,

নবীগঞ্জের কাজির বাজারে পুলিশ বিজিবির উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ : গ্রেফতার আতংকে কয়েকটি গ্রাম পুরুষশুন্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের কাজির বাজারে নির্বাচনের দিন গত ২৮ মে শনিবার সন্ধা রাতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থকদের সাথে বিজিপি-পুলিশের সংঘর্ষ ও সরকারী কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৮টি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার পর থেকে বাগাউড়া গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। ওই সংঘর্ষে ৩জন বিজিবি সদস্যসহ প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এস আই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে প্রধান আসামী ও ৪০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩শত লোকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গত ২৮ মে শনিবার সন্ধার পর নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া জালালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট গননা শেষে ব্যলট বাক্সসহ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার, বিজিবি পুলিশের পাহারায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কন্টোল রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগাউড়া গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ বাগাউড়া জামে মসজিদের মাইকে জানায় বিজিবি পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা আশিক মিয়া চেয়ারম্যানের ভোটের ব্যলট বাক্স ভোট গননা না করেই ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনা মাত্রই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আশিক মিয়ার ভাতিজা আবু বক্কর ও ছাত্রদল নেতা কাশেম মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক কাজির বাজারে রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যলট বাক্স বহনকারী পুলিশ ও বিজিবির বহরে থাকা ৮টি গাড়ী আটক করে ব্যলট বাক্স আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সাথে আর্শিক মিয়ার কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ফলে পুলিশ বিজিবি আত্মরক্ষার্থে প্রায় ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি চুড়ে। এতে হামলাকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় ৩ বিজিবি ২পুলিশ সদস্য ও হামলাকারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারে থাকা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আতংকে দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এ ঘটনার পর থেকে বাগাউড়া ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত ছাড়া ও সাধারন মানুষ গ্রেফতার আতংকে বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সচেতন মহল।


     এই বিভাগের আরো খবর