,

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরো ৩০০০ শিক্ষক নিয়োগ

সময় ডেস্ক ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৮ শত ৪৭ কোটি টাকা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ২২ হাজার ১শত ৬২ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর লক্ষ্যে নতুন আরো ৩০০০ শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। সবসময় আলোচনায় থাকা বেসরকারি শিক্ষকদের কথাও বাদ যায়নি বাজেটে। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ভাতার জন্য এবার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল রাখার পাশাপাশি এককালীন ১০০ কোটি টাকা অনুদান চাওয়া হয়েছে। বাজেটে জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আরো বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ব্যক্তি উদ্যোগকে উৎসাহিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। শিক্ষাখাতের ব্যয়কে সরকার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে দেখছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষাখাতে এবারের বাজেট প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ পাঠ্যসূচি প্রণয়নসহ পূর্বঘোষিত ৩৫০০০ শিক্ষকের সঙ্গে অতিরিক্ত আরো ৩০০০ শিক্ষক নিয়োগ পাবে। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, এরই মধ্যে ৭৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণি চালু করা হয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতে ব্যক্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবারের বাজেটে। অর্থমন্ত্রী বলেন,‘বর্তমানে প্রায় ৬৩০০০ শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সামর্থের ঘাটতি থাকায় সরকারি কার্যক্রম সীমিত রয়েছে। তাই বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে ব্যক্তিখাতে উদ্যোগ বাঞ্ছনীয়’। বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি এবারের বাজেটে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। অবসরে যাওয়াদের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবসর সুবিধা বোর্ডের আওতায় ৫০০ কোটি টাকার তহবিল এবং এককালীন ১০০ কোটি টাকার অনুদান চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও থাকছে বরাদ্দ। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে। নতুন বাজেটে শিক্ষাখাতের এসব বরাদ্দ ছাড়াও শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি আগামীতেও থাকবে বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি প্রশিক্ষণে নেয়া সরকারি পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য অটিস্টিক একাডেমি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে দরিদ্র মেধাবীদের বৃত্তি এবং শিক্ষকদের এককালীন অনুদান দেয়া চলবে বলেও জানান তিনি। বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, বয়স্কদের নূন্যতম শিক্ষার আওতায় আনতে এবারের বাজেটে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষাখাতের আওতায় একটি বিশেষ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে সরকার। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার প্রসারে কারিগরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেয়ার কথাও উল্লেখ আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর