,

পবিত্র মাহে রমজান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতি বছরের মতো ফিরে এল মুসলমানদের বহু প্রতীক্ষিত সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। মোবারক হো মাহে রমজান। গতকাল সোমবার আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রাতে তারাবির নামাজ আদায় করে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এবারো সব মসজিদে প্রতি বছরের মতো একই পদ্ধতিতে অর্থাৎ, রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করে ২৭ রমজানে লাইলাতুল কদরে কুরআন খতমের পরামর্শ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সংযম চর্চার মধ্য দিয়ে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও মহান আল্লাহপাকের অনুগ্রহ লাভের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ মঙ্গলবার শুরু করেছেন সিয়াম সাধনা। মাস শেষে উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এর আগে আগামী ২ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। গত রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে গতকাল সোমবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেরও বেশকিছু অঞ্চলে গতকাল সোমবার থেকে রোজা পালন শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সৌদি আরবের অনুকরণে এ বছর সোমবার থেকে রোজা পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানরাও। পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকা ছাড়াও জাগতিক মোহ, কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা দমন করে আত্মশুদ্ধির সাধনা চলবে পুরো রমজান মাসে। রোজা রাখার পাশাপাশি সাধ্যমতো দান-খয়রাত ও বেশি বেশি নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে ইসলামের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই মাসের দিনগুলো অতিবাহিত করবেন মুসল্লিরা। রহমত ও বরকতের দিক দিয়ে রমজান মাস বছরের অন্য ১১ মাস থেকে ভিন্ন। এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথমাংশ রহমত, দ্বিতীয়াংশে মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমা আর তৃতীয়াংশে নাজাত তথা দোজখ থেকে মুক্তির।


     এই বিভাগের আরো খবর