,

সুরাবই গ্রাম রণক্ষেত্র : আহত ২ শতাধিক : ১৯২ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুরাবইয়ে ৮ গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় ২শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৯২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আহত সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে প্রাণ কোম্পানীর শ্রমিক কান্দিগাঁও গ্রামের শামিম কাজ শেষে অলিপুর থেকে বাছিরগঞ্জ বাজারে যাওয়ার জন্য টমটমে উঠে। কিন্তু টমটম চালক সুরাবই গ্রামের বাসিন্দা কবির মিয়া শামিমকে বাছিরগঞ্জ বাজারে না নামিয়ে সুরাবই বাজারে নামিয়ে দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে কান্দিগাঁও ও সুরাবই গ্রামবাসি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আঞ্চলিকতার টানে শরিফাবাদ, শৈলজুড়া, কাটাখালি, বাছিরগঞ্জ, ঘোরাবই ও ভাটি শৈলজুড়া গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ২ শতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ নজির মিয়া, সুরুজ আলী, আয়াত আলী, মর্তুজ মিয়া, শাহিন, বাছির, হেলাল, সিজিল, আব্দল মতিন, আলফু মিয়া, হাফিজুল, সিরাজ, কামাল, কবির, বশির, শাহজাহান, ঠান্ডা মিয়া, আব্দুল গণি, মধু মিয়া, সাবুদ মিয়া, তছকির মিয়া, চান মিয়া, বাচ্চু মিয়া, নবির হোসেন, জাহেদ আলী, হারুন মিয়া, টেনু মিয়া, শহিদ মিয়া, কলিল, খেলু মিয়াসহ কমপক্ষে ৮০ জনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অপর আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। খবর পেয়ে শায়েস্থাগঞ্জ থানার পুলিশসহ হবিগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩১ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১৬১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর