,

গজনাইপুরে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ : হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে -আবুল খায়ের গোলাপ

গত ১৭ জুন শুক্রবার দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস, দৈনিক দেশজমিন, বিবিয়ানা সহ বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় “নবীগঞ্জ নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা’ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্ঠিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশিত হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এ হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রকৃত ঘটনা হলো গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অপরাধে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ ও তার পুত্র ফয়েজ আমীন রাসেল তাদের লোকজন নিয়ে নিরীহ মানুষের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এবং আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তার দোষারোপ আমার উপর চাপানোর ব্যর্থ চেষ্ঠা করছে। শাহনেওয়াজ ও তার পুত্র ফয়েজ আমীন রাসেলের বিভিন্ন অপকর্মের কাহিনী সম্পর্কে এলাকাবাসী অবগত রয়েছেন। পিতা-পুত্রের অত্যচার এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ফয়েজ আমীন রাসেল কিছুদিন আগে ধর্ষণ মামলায় কারাভোগ করে এসেছে। এছাড়া ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর স্থানীয় দালাল ও রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক-বাহিনী রাতের অন্ধকারে মামদপুরে প্রবেশ করে। পাকবাহিনীর বর্বর নরপশুরা ঘরে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ঘুমন্ত মানুষকে জোর ধরে ধরে নিয়ে একত্রিত করে। তারপর সকল বন্দিদের নিয়ে যায় শাহনেওয়াজের পিতা রাজাকার সাজিদ আলী মাষ্টারের বাড়ীতে। তারপর রাজাকার সাজিদ আলী মাষ্টারের নেতৃত্বে সুন্দরী যুবতীদের উপর চালানো হয় পাশবিক অত্যাচার ও গণধর্ষণ। এব্যাপারে এলাকার মুরুব্বীয়ানগণ অবগত রয়েছেন। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই রাজাকারপুত্র শাহনেওয়াজ ও তার পুত্র রাসেল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর অত্যাচার করে তার দায়ভার আমার উপর চাপানোর চেষ্ঠা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাত প্রায় ১০ টার দিকে তারা গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর ও শিয়ালের পুঞ্জি গ্রামের নিরীহ লোকজনের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমার উপর এর দায়ভার চাপানোর চেষ্ঠা চালায় ও সাংবাদিক ভুল তথ্য প্রদান করে পত্রিকায় আমার বিরদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে। তাই সংগত কারনে আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সেই সাথে উক্ত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাই।

আবুল খায়ের গোলাপ
ইউপি চেয়ারম্যান
গজনাইপুর ইউপি, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর