,

কমপ্লিট বাংলাওয়াশ

সময় ডেস্ক ॥ বসুন্ধরা সিমেন্ট বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে নিয়ে উত্তেজনার তেমন কিছুই ছিল না। প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা টাইগাররা আগেই সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সিরিজ জেতার পর থেকেই আকাশে বাতাসে একটাই আলোচনা ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়কে উপহার দিতে হবে ‘বাংলাওয়াশ’। সিরিজের শেষ ম্যাচে সেই প্রশ্নের উওর দিতেই নেমেছিল মাশরাফিরা। পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে তুলির শেষ আচঁড়টা বেশ সফলভাবেই দিয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন হ্যাটট্রিক হিরো তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘুর্নিতেই ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাইজুল ১১ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। এছাড়া সাকিব আল হাসান নেন তিন উইকেট এবং জুবায়ের হোসেন নেন দুই উইকেট। জিম্বাবুয়ের হয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা করেন ৫২ রান। ২৪.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৯ রানের মামুলি টার্গেটে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। মাহমুদ্দল্লাহ ১০ চারে ৫৫ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। সফরকারীদের পেসার চাতারা নেন তিন উইকেট। প্রথম টেস্ট এবং শেষ ওয়ানডের অদ্ভুত মিল:ক্রিকেট বিধাতা বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্রনাট্যটা নিজ হাতেই লিখেছেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় এবং শেষ ওয়ানডে জয়ের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত মিল। মিরপুরের প্রথম টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে আট উইকেট শিকার করে একাই ধসে দিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। সে ম্যাচে ১০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। পঞ্চম ওয়ানডেতেও তাইজুলের অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সুবাদে জিম্বাবুয়েকে ১২৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এদিন স্নায়ু চাপেই ভুগেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। যেখানে সমর্থকরা আশা করছিলেন দাপুটে এক জয়। উল্টো ৫৮ রানে চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় মুশফিক আউট হলে অঘটনের আশঙ্কায় কেঁপে উঠে পুরো বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদ্দলাহ এবং সাব্বির আহমেদ কোন অঘটন ঘটতে দেননি। জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের উড়ন্ত সূচনা: পুরো সফরে জয়ের জন্যে মরিয়া জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন। দলীয় ১৫ রানের মাথায় মাশরাফি সিকান্দার রাজার উইকেট তুলে নিলেও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং ভুসিমুজি সিবান্দার মারকুটে ব্যাটিং দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল স্বাগতিক অধিনায়ককে। দশ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৬০ রান। স্পিনে কুপোকাত জিম্বাবুয়ে: তবে এই ম্যাচেও স্পিনে কুপোকাঘাত হয় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে বোল্ড করে মাশরাফির মুখে হাসি ফোটান লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। এরপর দ্রুতই সাকিব সিবান্দা এবং টেইলরের উইকেট তুলে নিলে পথ হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। এরমধ্যে তাইজুল অভিষেকেই প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লে জিম্বাবুয়ে ১২৮ রানে অল আউট হয়ে যায়। দুই উইকেটে ৯৫ রান থেকে ৩৩ রান তুলতেই বাকি আট উইকেট হারায় সফরকারীরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ২০১৪ সালের শুরুটা হয়েছিল টানা পরাজয়ের বিভীষিকা দিয়ে, কিন্তু বছরের শেষ সিরিজে এসে ক্রিকেটাররাই সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন। শুন্য হাতেই ফিরতে হলো জিম্বাবুয়ানদের।


     এই বিভাগের আরো খবর