,

নবীগঞ্জে শেষ মুহুর্তে ঈদের মাকের্টে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়

উত্তম কুমার পাল হিমেল ॥ শেষ মুহুর্তে নবীগঞ্জে ঈদের আমেজে সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। আর মাত্র ৬ দিন পরেই ঈদ, তাই পরিবারের সবাই এবং প্রিয়জনকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। সবাই পছন্দের পোশাক পরে ঈদের আনন্দ করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে কেনাকাটা করছেন। নবীগঞ্জের প্রতিটি কাপড়ের ফ্যাশন সপ, বিপনী বিতান এবং কসমেটিক্স দোকানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়ে মুখরিত। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখন ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্থ। সরেজমিনে বিপনীবিতানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এবারের ঈদে মহিলা ও তরুনীেেদর প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে কিরনমালাও বজ্রমালা ড্রেস, ইন্ডিয়ান বাজিরাও মাস্তানী, মিস সুইটি, মিস ম্যাচিং, লং ব্রাউন, জালহা, প্রেম রতন, টাঙ্গাইল, হাফ সিল্ক, জামদানী, শাড়ী, ইন্ডিয়ান ত্রিপিছ, ইন্ডিয়ান সুতি শাড়ী, জরজেট ও টাঙ্গাইল শাড়ী এবং পুরুষদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে প্যান্ট ক্যাশ অব ক্যান, বাজুরঙ্গী, আরমানি ও ডেসিম, জামিম, চায়না শার্ট, থাইপ্যান্ট, সর্ট পাঞ্জাবী, ফতুয়া, চেক পুল ও হাফসার্ট। নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেনপ্লাজার লাবনী ফ্যাশন, ডিজাইন টাচ্, ষ্টাইল আইকন, জুই কসমেটিক্স, প্রীতিকনা ভেরাইটিজ স্টোর, মধ্যবাজারের কাশেম ক্লথ ষ্টোর, উত্তম বস্ত্রালয়, পপি ভেরাইটিজ সেন্টার, শেরপুর সড়কের রংধনু ক্লথ স্টোর, নবরূপা ক্লথ স্টোর, জে,ক,হাইস্কুল রোডের ফ্যাশন ষ্টোর, নুরানী মার্কেটের আল আমিন ক্লথ ষ্টোর, আল্লারদান ক্লথ ষ্টোর, লক্ষী বস্ত্রালয়, জনি ক্লথ ষ্টোর, নবরূপা ক্লথ ষ্টোর, রেনেসা ফ্যাশন, মিম্বর টাওয়ারে রছ, রাজা কমপ্লেক্সের মুক্তিযোদ্ধা বস্ত্র বিতান, অপরাজিতা কসমেটিক্সসহ শহরের অন্যান্য বিপনী বিতানগুলোতে এখন প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় থাকে। বিপনী বিতানের পাশাপাশি পোষাক তৈরীর জন্য টেইলার্স দোকান গুলোতেও ভীড় দেখা গেছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকী ঈদের। তাই শেষ মুহুর্তে নবীগঞ্জের সর্বত্র ক্রেতাদের কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ব্যস্ত। তবে তরুনী ও মহিলাদের আইটেমের মধ্যে ইন্ডিয়ান ক্যাটরিনা শাড়ী, ইন্ডিয়ান শাড়ী, মাচাক কালী শাড়ী, দাবাং ত্রিপিছ এবং পুরুষদের আইটেমের মধ্যে চায়না সার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী-পাজামাসহ গার্মেন্টেস এর পন্য বেশী বিক্রি হচ্ছে। এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে গোল্ডেন পাজার লাবনী এক্সক্লুসিভ ফ্যাশন ওয়্যার এর পরিচালক শাহ শামীম আলম জানান, ঈদকে সামনে রেখে গত বছরের তুলনায় ভালই বিক্রি হচ্ছে। তবে বিদেশী রেমিটেন্স কম আসায় এবং প্রবাসীরা দেশে কম আসায় বেচাকেনা আশানুরুপ হয়নি। তরুনীদের আনরেডি ত্রিপিছ ও পুরুষদের সার্ট প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে বেশী। তবে নবীগঞ্জে ঘন ঘন বিদ্যুত লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। ঈদের বিক্রি গত বছরের তুলনায় খুব ভাল হচ্ছে। মধ্য বাজারের উত্তম বস্ত্রালয়ের স্বত্তাধিকারী জানান, ঈদের বাজারে বেচাবিক্রি ভালই হচ্ছে। মহিলাদের আনরেডি থ্রীপিছ, সুতি ও ব্লকের শাড়ী বেশী বিক্রি হচ্ছে এবং পুরুষদের সার্ট-প্যান্ট প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। কসমেটিক সামগ্রীর দোকান পপি ভ্যারাইটিজ সেন্টারের পরিচালক প্রমথ চক্রবর্তী বেনু জানান, এ বছরের ঈদে বাজারে মহিলা ও তরু”নীদের প্রথম পছন্দ সিটি গ্লোল্ডের গলার হাড়, হাতের ছুড়ি এবং প্রসাধনী সামগ্রী হিসাবে মেহেদী বিক্রি হচ্ছে বেশী। ঈদের বেচাকেনাতে আমি খুশি। নবীগঞ্জ জে,কে হাইস্কুল সড়কের ফ্যাশন ষ্টোরস এর সজল কুমার দাশ জানান, ঈদের বাজারে বেচাবিক্রি ভালই হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আরও ভাল বিক্রি হবে বলে আশা করছি। নুরানী মার্কেটের আল্লারদান ক্লথ ষ্টোরের স্বত্তাধিকারী তাজুল ইসলাম জানান, এবারের ঈদে অন্য বছরের তুলনায় বেচাবিক্রি বেশি। আমাদের নুরানী মার্কেটে নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর লোকজনের পোশাক সুলভ মুল্যে পাওয়া যায় তাই ক্রেতার উপস্থিতি আশানুরূপ ভাল। লক্ষী বস্ত্রালয়ের পরিচালক সুজিত কুমার পাল জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর বেচাবিক্রি ভাল। ক্রেতাদের সামর্থের ভেতরেই সব ধরনের কাপর চোপড় আমাদের সংরক্ষনে রয়েছে। ঈদের মার্কেটে আসা স্কুল শিক্ষিকা রাশিদা বেগম জানান, জরজেট শাড়ী ও আনরেডি থ্রি-পিছ পছন্দের তালিকায় থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় বাজেটে কতটুকু পোষাবে তা চিন্তা করছি। শহরের মধ্যবাজারে শপিং মল গুলোতে উচ্চবিত্তের ক্রেতাদের ভীড় থাকলে শহরের নুরানী মার্কেটে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ক্রেতাদের ভীড় বেশী। দাম অনেকাংশে কমে পাওয়া যায় বলে সেখানে সারাদিনই নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম বেশী। নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, শহরের মধ্যবাজারে শপিংমল গুলোতে এবার ক্রেতারা সাচ্ছন্দে কেনা কাটা করতে পারছেন। নবীগঞ্জ বাজারের পরিবেশ ভালো সুষ্টু পরিবেশ থাকায় ক্রেতাদের অধিকাংশই অন্য শহরে না গিয়ে নবীগঞ্জে তাদের কেনাকাটায় স্বস্থিবোধ করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর