,

যানজটের শহর হবিগঞ্জ

সময় ডেস্ক ॥ যানজটে নাভিশ্বাস উঠেছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর। প্রতিদিন শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম প্রধান সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে চার্জার ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক। যেখানে শহরের জন্য ৫শ ইজিবাইকই যথেষ্ট, সেখানে চলাচল করছে প্রায় ৫ হাজার ইজিবাইক। এর মাঝে প্রধান রাস্তা থেকে শুরু করে সবগুলো রাস্তাই তুলনামূলকভাবে সরু। ফলে যানজট মানুষের নিত্যসঙ্গিতে পরিণত হয়েছে। মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি। এ নিয়ে বার বার শহরবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মাঝে মাঝে অভিযানের নামে কিছু লোক দেখানো ইজিবাইক আটক করা হয়। বৈধ ইজিবাইকের কয়েকগুণ বেশি অবৈধ ইজিবাইক পৌর এলাকায় চলাচল করছে বলেও স্বীকার করলেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাস। তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে মাত্র ১ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অথচ চলাচল করছে প্রায় ৫ হাজার। এ তথ্য আমাদের কাছে আছে। ঈদুল ফিতরের পরই আমরা এসব অবৈধ ইজিবাইক আটকে অভিযান শুরু করবো। এছাড়া আগেও বিভিন্ন সময় অবৈধ ইজিবাইক আমরা আটক করেছি। কিন্তু বিভিন্ন মহলের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত তা ছেড়ে দিতে হয়। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার আয়তন মাত্র ৯.৫ বর্গ কিলোমিটার। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি ইজিবাইক চলাচল করে জেলার ব্যবসায়ীক প্রাণকেন্দ্র চৌধুরী বাজার থেকে শায়েস্তানগর সড়ক এবং চৌধুরী বাজার-বাসটার্মিনাল সড়কে। শুধু এ সড়কেই চলাচল করে কমপক্ষে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ইজিবাইক। আর সামান্য কিছু গাড়ি চলাচল করে নারিকেল হাটা থেকে বাসটার্মিনাল এবং কামড়াপুর থেকে বাইপাস সড়কে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত। ইজিবাইকগুলোর মধ্যে মাত্র ১ হাজার বৈধ আছে। যেগুলোর নাম্বার প্লেট দেয়া হয়েছে। আর বাকিগুলো অবৈধ। একটি সূত্র জানায়, ইজিবাইকের নাম্বার প্লেট দেয়া নিয়েও বাণিজ্যে মেতে উঠেছে পৌরসভার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা। একটি নাম্বার প্লেটের নির্ধারিত ফি ২ হাজার টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অনেকেই এগুলো নিজেদের স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের কথা বলে ৫/১০টি করে নম্বর প্লেট নেন। পরে এগুলো তারা ১৫/২০ হাজার টাকা করে ইজিবাইক মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাম্বার প্লেট দেয়ার দায়িত্বে থাকা সিদ্ধার্থ বিশ্বাস।


     এই বিভাগের আরো খবর