,

নবীগঞ্জের কারখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের ৩৮নং কারখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে কাজ শুরুর আগেই ঘুষের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা বিল হাতিয়ে নিয়ে যেমন খুশি ইচ্ছেমত অনিয়ম করছেন প্রধান শিক্ষক গোপেশ চন্দ্র দাশ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চন্দন নন্দী পুরকায়স্থ। জানাযায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীর ৩য় পর্যায়ের বরাদ্দের আওতায় ক্ষুদ্র মেরামত কাজের জন্য ওই বিদ্যালয়ের ২টি কক্ষের নীচ পাকা করন, কয়েকটি দরজা ও বিদ্যালয়ে নতুন করে রংয়ের কাজ করার জন্য শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় গত মে মাসে। ওই কাজের দ্বায়িত্ব পান অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপেশ চন্দ্র ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবু চন্দন নন্দী পুরকায়স্থ। তবে তাঁরা কাজের কাজ কিছু না করেই কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে চলচাতুরী করে ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ম্যানেজ করে এই মেরামতের ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। অবশেষে নানা চাপের মুখে গতকাল শুক্রবারে মেরামতের পাকা কাজ শুরু করলেও ১নং ইটের পরিবর্তে বিল্ডিং এর পুরাতন মসলা মাখানো পঁচা ইটের গুড়া মাটির মত কংক্রিট, পুরাতন সিমেন্ট, বালু দিয়ে স্কুল কক্ষের নীচ ডালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছন তড়িগড়ি করে। এছাড়াও দরজা মেরামত ও পুরো বিদ্যালয়ের রংয়ের কাজ না করেই ইহা মেরামত সম্পন্ন দেখিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম করছেন, তাহারা। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় এর নানা অনিয়মের দৃশ্য। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চন্দন নন্দী পুরকায়স্থ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কাজের সাথে আমি আগে জড়িত ছিলাম, কিন্তু এখন আর নেই, ইহা সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ও তাহার দ্বায়িত্বে এই কাজ চলছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক গোপেন চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে এবং অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,এটা সামান্য একটি কাজ আমি ও সভাপতি মিলেই এ কাজ করছি, এতে দূর্নীতি বা অনিয়ম তেমন বেশি কিছু হচ্ছেনা। কাজ না করেই কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বিল হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ আগে হয়নাই সঠিক, তবে এখনতো আমরা কাজ করছি, এতে দোষের কি আছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ও শুনতেছি উনারা অনিয়মের মাধ্যমে অফিসকে ভুল তথ্য দিয়ে কাজের বিলটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। নিম্ন মানের সামগ্রী ও অনিয়মের ব্যাপারে তিনি আর কোন বক্তব্যে দিতে চাননি। অপরদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মেরামত কাজে নতুন কোন ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবহার না করে ও বিজনা ব্রিক ফিল্ড ও বিভিন্ন দোকান এন্টার প্রাইজে এর নামে ইট ক্রয় সহ নানান বাউচার তৈরি করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অফিসে জমা দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। প্রকৃত পক্ষে বিজনা ব্রিক ফিল্ডের নতুন ইট ক্রয়তো দুরের কথা একটি নতুন ইটও মেরামতের জন্য ক্রয় করা হয়নি। এভাবেই চলছে স্কুলের মেরামতের উন্নয়ন কাজ। এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির অনেক সহ অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।


     এই বিভাগের আরো খবর