,

নবীগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতা : নব-নির্বাচিত মেম্বারকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত প্রতিবাদে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল আমিন খানকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদে দু‘পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কুর্শি বাস ষ্ট্যান্ডে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে আতংকে দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে তাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল বাতেন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় টানটন উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৫ম দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদন্ধিতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেম্বার (পরাজিত) সৈয়দ নজমুল হোসেন হারুন ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তরুন ব্যবসায়ী আল আমীন খাঁনসহ আরো ৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ৩ প্রার্থী মিলে যে ভোট পায় তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে আল আমীন খাঁন মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের পর নব-নির্বাচিত মেম্বার ও পরাজিত মেম্বারের লোকজনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এরই সুত্রে গতকাল রবিবার সকাল ১১ টার দিকে আল আমীন খান নবীগঞ্জে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদেশ্যে কুর্শি বাস ষ্ট্যান্ডে আসা মাত্রই আগে থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাক রানা চৌধুরী ও হারুন মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন লোক আল আমীন খানকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। ঘটনার খবর পেয়ে আল আমীন খানের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন লোক আহত হয়। রনক্ষেত্রে পরিণত হয় কুর্শি গ্রাম। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হল, নব-নির্বাচিত মেম্বার আল আমীন খাঁন (৩০), নজরুল খাঁন (৩৫), গোলেমান খাঁন (৫৫), সুলেমান খাঁন (৫০), জাবরুল খাঁন (২৫), ইমরান খাঁন (২৬), লিয়াকত খাঁন (৩০), হেলাল খাঁন (৩২), দুলাল খাঁন (২৮), ইমন খাঁন (২২), বকুল খাঁন (৩০), লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা রানা চৌধুরী (৫৫), তার ভাই মতি চৌধুরী (৫০) ও মহশিন চৌধুরী (৪৮), সবুর মিয়া (৪০), শহিদ উল্লাহ (৭০), কছির মিয়া (৬০)। এদের মধ্যে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল আমীন খাঁনের উপর হামলার প্রতিবাদে নবীগঞ্জ শহরের স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করতে দেখা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর