,

শায়েস্তাগঞ্জের সিরাজ বোর্ডিং থেকে ৭ যুবক-যুবতী আটক

শায়োস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আবারো শায়েস্তাগঞ্জের আলোচিত সিরাজ বোর্ডিং থেকে ৩ যুবতীসহ ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে ২ যুবতী ও ৩ যুবককে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। এক যুবক-যুবতীকে বিয়ের মাধ্যমে মুক্তিসহ হোটেল মালিক যুবদল নেতাকে শেষবারের মতো সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জে আলোচনার ঝড় তুলেছে। জানা যায়, গত রবিবার গভীর রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাউদনগর বাজারের আলোচিত ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় বিভিন্ন রোম থেকে হোটেল বয় ও যুবতীসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হল ঃ চুনারুঘাট উপজেলার গোলগাও গ্রামের সিএনজি চালক আব্দুর রহিম (২২), গোবরখলা গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল হামিদ (২০) ও নরপতি গ্রামের মুসলেহ উদ্দিনের পুত্র হোটেল বয় মোঃ আব্দুর রফি (২২), মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র সাইফুর রহমান তুহিন (১৮), বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর গ্রামের আলফু মিয়ার কন্যা উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাতেমা আক্তার লিজা (১৯), চুনারুঘাট উপজেলার গোবরখলা গ্রামের মৃত তাহির মিয়ার কন্যা লাভলী আক্তার (২২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বড়পুকুর গ্রামের সহিদ মিয়ার কন্যা এবং ঢাকার মিরপুর শান্তিবাগ হোটেলের বাবুর্চি রাসেল মিয়ার স্ত্রী সুইটি বেগম ওরফে ইয়াসমিন (২২)। সোমবার দুপুর ২টার দিকে আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশফাকুল হক চৌধুরীর কার্যালয়ে হাজির করা হয়। আদালত হোটেল বয় আব্দুর রফি, দুবাই প্রবাসি আব্দুল হামিদ, সিএনজি চালক আব্দুর রহিম, লাভলী আক্তার ও সুইটিকে ১ মাসের করে কারাদন্ড প্রদান করেন এবং কলেজ ছাত্র তুহিন ও ছাত্রী লিজার মাঝে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় অভিভাবকদের খবর দিয়ে এনে নব-নির্বাচিত মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার উপস্থিতিতে ৫ লাখ ১ টাকা কাবিনে বিয়ে পড়িয়ে দেন। এ সময় ওই হোটেলের মালিক শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবদল নেতা মুরাদ আহমেদকে শেষবারের মতো সতর্ক করে দিয়ে আদালত বলেন ভবিষ্যতে তার হোটেলে এধরণের কাজ করা হলে হোটেল সীলগালা করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ভ্রাম্যমান আদালত। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে শায়েস্তাগঞ্জের এই হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে প্রকাশ্যে অসামাজিক কাজ চলছি। পুলিশ বারবার ওইসব হোটেল থেকে যুবক-যুবতীদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রেরণ করলেও হোটেল মালিকরা তাদের হোটেলে অসামাজিক কাজ বন্ধ করছেন না। ফলে শায়েস্তাগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের অসাধু পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করে এসব অসামাজিক কাজ করা হয় বলে এলাকাবাসি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর