,

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির প্রহর গুনছেন হবিগঞ্জের ৯ জনসহ ৩১ আসামি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে ফাঁসির প্রহর গুনছেন হবিগঞ্জের ৯ জনসহ ৩১ ফাঁসির আসামি। যারা পৃথক মামলায় বিভিন্ন সময় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির সেলে কাটছে তাদের জীবন। নিম্ন আদালত থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এসব কয়েদিদের মামলার আপিল চলমান রয়েছে উচ্চ আদালতেও। এখন তারা উচ্চ আদালতের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই হত্যা মামলার আসামী। অন্যরা ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত। এ কারাগারে ফাঁসির সেলে থাকা কয়েদির মধ্যে রয়েছেন শিশু রাজন ও আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও। ফাঁসির আসামিদের মধ্যে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন হবিগঞ্জ শহরতলীর এড়ালিয়ার পাবেল আহমদ (২৭), সদর উপজেলার রায়দরের আব্দুর রউফ মোল্লা (৩৫), আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা গ্রামের ফয়ছল মিয়া (২৩), সদর উপজেলার বনগাঁওয়ের আব্দুল খালিক (৩৮), বানিয়াচংয়ের ত্রিকর মহল্লা গ্রামের আব্দুর রশিদ (৩২), একই উপজেলার আগুয়া গ্রামের রেনু মিয়া (৬৫), একই গ্রামের আলী হায়দার (৬৫) ও হাবিব মিয়া (৪৩), তুপিয়াজুড়ি গ্রামের আব্দুল আহাদ (৭২)। এ ছাড়াও ফাঁসির আসামিদের মধ্যে একমাত্র মহিলা কয়েদি ফাতিহা মাশকুরা (৪০)। তিনি সিলেট নগরীর সওদাগরটুলা নিজ বাসায় স্বামী ইবরাহিম খলিলকে হত্যা করেন। এ মামলায় চলতি বছরের ৬ জুন সিলেট মহানগর দায়রা জজ তার মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া ফাঁসির সেলে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন শিশু রাজন হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম ওরফে কামরুল (৩০), তাজ উদ্দিন বাদল (১৯), সাদিক আহমদ ওরফে বড় ময়না (২৮)। এরা সবাই বৃহত্তর সিলেটের বাসিন্দা। তারা হলেন ঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নভাগ গ্রামের লেচু মিয়া (৩৯), একই গ্রামের মুজিব আলী (৫০) ও খতিরা গ্রামের ফজর আলী (৩৫), জকিগঞ্জের আজর গ্রামের নেজাম উদ্দিন (৬৭) ও সমানীনগরের আনোয়ারপুরের নুরুল ইসলাম রাকিব (২৬), গোলাপগঞ্জের ঘোষগাঁওয়ের কলা মিয়া (৩৯) সহ ৩১ জন। সিলেট কারাগারের জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন বলেন, ফাঁসির আসামি প্রায় সময়ই কম-বেশি হয়। তবে গত বুধবার পর্যন্ত কারাগারে ৩১ জন ফাঁসির আসামি রয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির প্রত্যেকের মামলা উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। আপিলে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকলে পরবর্তীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিার আবেদনের সুযোগ পাবেন তারা। এর আগে গত বুধবার (১৩ জুলাই) প্রথম প্রহরে সিলেট কারাগারে প্রতিবেশীকে হত্যা মামলায় চুনারুঘাটের চা শ্রমিক মাকু রবি দাশের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ।


     এই বিভাগের আরো খবর