,

হবিগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে শিশু নির্যাতন ॥ যুবক আটক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সিলেট, খুলনা শিশু নির্যাতনের পর এবার হবিগঞ্জ শহরের গরুবাজারের মধ্যযুগীয় কায়দায় মোবাইল চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁেধ অমানসি নির্যাতন করেছে যুবদল কর্মী শাহ আলম নামের এক যুবক। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই রাজকুমারকে কোজ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গরু বাজার এলাকার আব্দুল আলীর পুত্র যুবদলকর্মী শাহ আলম (২৮) এর একটি মোবাইল ফোন গত মঙ্গলবার বাসা থেকে হারিয়ে যায়। শাহ আলমের সন্দেহ হয় যশেরআব্দা গ্রামের খালেক মিয়ার পুত্র রনি মিয়া (১১) ও একই এলাকার লেদু মিয়ার পুত্র রুবল (১০) ও তার বাসার ভাড়াটিয়া মাইয়া (৮) নামের তিন শিশু মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে গেছে। গতকাল বুধবার সকালে সে তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ওই তিন শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে এনে তার কলোনীতে হাত ঁপা বেঁধে লাঠি ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে অমানসিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তারা চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসিরা তাদেরকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান। এ সময় শাহ আলম তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই রাজকুমার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে শিশুদের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের জিম্মায় দিয়ে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই তিন শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে শাহ আলম ও তার লাঠিয়াল বাহিনী তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি কোন মামলা না করতে হুমকি দেয়। বিষয়টি গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশের টনক নড়ে। গতকাল বুধবার রাত ৮টায় সদর থানা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.ফ. শামসুর রহমান ভুইয়ার নির্দেশে যুবদল কর্মী শাহ আলমকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা শিকার করে। এদিকে পুলিশ রনি ও রুবেল নামের দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসআই রাজকুমার কে ক্লোজ করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান। শাহ আলম মোবাইলটি তার ঘরেই পেয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। সম্প্রতি শাহ আলম ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যায়। কয়েকদিন আগে সে জামিনে মুক্তি পায়। স্থ’ানীয়রা অভিযোগ করেন তার অত্যাচারে কলোনীতে কেউই স্থায়ীভাবে থাকতে পারছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর