,

এমপি কেয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহী মামলা দায়েরের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলায় এবং শোকের মাসে সংবর্ধনা নেয়ায় এমপি কেয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহী মামলা দায়েরের দাবিতে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ডাঃ ইসতিয়াক রাজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, কায়েস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সানী, বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়জুর রহমান রবিন, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ পারভেজ প্রমূখ। এ সময় বক্তাগণ অবিলম্বে ছাত্রলীগ নেতবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সফিউল আলম এবং পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম সামছুল ইসলাম সামছ স্মারকলিপি গ্রহন করেন। প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে একটি সংবর্ধনা সভায় যোগদান ও জঙ্গিবিরোধ সভায় ভুল বক্তব্যকে দেয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট সদর মডেল থানায় ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়জুর রহমান রবিন ও যুবলীগ নেতা আব্দুর রকিব রনির নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল প্রতিবাদ সভা শেষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ ইসতিয়াক রাজ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামীলীগের ভ্যানগার্ড হল ছাত্রলীগ। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এই সংগঠন রাজপথে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছোট। আওয়ামীলীগ আমাদের অবিভাবক। যদি ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মী ভুল করে তাহলে তাদেরকে শাসন করার অধিকার রয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর। কিন্তু সরাসরি থানায় অভিযোগ করলে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যদি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে অভিযোগ প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামীলীগের কোন নেতা বা জনপ্রতিনিধি যদি স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং শোকের মাসে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে সংবর্ধনা নেন তাহলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে যেভাবে নিন্দার ঝড় বইছে সেখানে অবশ্যই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মন্তব্য ও শেয়ার করা দোষের কিছুই নয়। নিজের অপকর্মে আড়াল করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। যদি অবিলম্ভে এই অভিযোগ প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর