,

রেল লাইনের পাশ থেকে প্রাণ কোম্পাণীর শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর এলাকার রেল লাইনের পাশ থেকে আজগর আলী (৩৫) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ রেললাইনে ফেলে পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন রেলক্রসিংয়ের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে শায়েস্থাগঞ্জ থানায় খবর দেয়। এসআই সামিউল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে বিকেলে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের উত্তর বড়জুস গ্রামের ওয়াব আলীর পুত্র। সে অলিপুর প্রাণ আরএফএল গ্র“পের শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। তার পরিবার সুত্রে জানা যায়, আজগর আলী ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আব্দুল মন্নানের কন্যা হোসনাকে বিয়ে করে। তাদের কোলজুড়ে ৩টি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। অভাব অনটনের কারণে স্বামী-স্ত্রী দুইজনক প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরি নেয় এবং ওই এলাকার আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করে। আজগর আলীর স্ত্রী হোসনা আক্তার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাজার করে বাসায় দিয়ে সে কর্মস্থলে যাবার কথা বলে বেরিয়ে যায়। রাত ১০টায় তার মোবাইল ফোন ০১৭২৮-১৮৯৭৮৩ টি বন্ধ পাওয়া যায়। আজগর আলী কোম্পানীতে জরুরি কাজে আছেন মনে করে হোসনা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তিনিও কর্মস্থলে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে হোসনার ভাই তাকে ফোনে জানায়, আজগর আলীর লাশ পাওয়া গেছে। এ খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ সনাক্ত করেন। আজগর আলীর শ্যালক জাকির জানায়, ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার জাকির হোসেন তাকে ফোন করে জানায় তার দুলা ভাইর লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এদিকে শ্যালক জাকির ও আজগরের স্ত্রী হোসনা আক্তারের দাবি তার স্বামীকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রেল লাইনে ফেলে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। শায়েস্থাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, রেল লাইনের ১০ গজ দুরে লাশ পাওয়া গেছে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল দুর্ঘটনা। লাশের শরীরে আঘাত থাকায় মনে হচ্ছে এটি দুর্ঘটনা নয়। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।


     এই বিভাগের আরো খবর