,

দূর্গাপূজায় মুসলমানদের অনুরূপ দায়িত্ব পালন করার কথা বলেননি এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত কেন্দ্রীয় ঈদগাহে যাতে কেউ সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড না ঘটতে পারে তার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে সনাতন ধর্মের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। তবে শহরের আর কোন ঈদের জামাতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে না। গতকাল বিকেলে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবকদেরকে গতকাল বিকেল ৫টায় তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে ব্রিফিং করে পুলিশ। উক্ত সভায় পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামসুর রহমান শামস, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, রাসেলুর রহমান, এড. পূণ্যব্রত চৌধুরী বিভু, এড. অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী, এড. নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো, অনুপ কুমার দেব মনা, শড়খ শুভ্র রায়, গৌতম আচার্য্য ও তুষার মোদকসহ হিন্দু কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এড. মোঃ আবু জাহিরের আহবানে প্রশাসন এবছর এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। এদিকে গত শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদের কমিটির নেতৃবৃন্দ ও খতিবদের সাথে বৈঠকে এমপি আবু জাহিরের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে তা নিয়ে কোন কোন মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্ঠা করছেন। এমপি আবু জাহিরের ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস বলেন, ঈদের জামাতের বাহিরে সনাতন ধর্মের স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথা বলা হলেও দূর্গা পূজায় মুসলমনারাও অনুরূপ দায়িত্ব পালন করবেন এমন কথা এমপি আবু জাহির বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর হবিগঞ্জে আবহমানকাল থেকে দূর্গা পূজায় মুসলিমরা পূজার্থীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদেরকে উৎসব পালনে সহযোগিতা করেন। আয়োজকরাও সমাদর করে থাকেন। শনিবারের সভায় এমপি আবু জাহির সকলের পরামর্শে ও মতামত নিয়ে শুধু মাত্র ঈদের জামাতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়টি বলেন। তিনি বলেন, কেউ ইচ্ছা করলে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। বিষয়টি কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানান তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর