,

নবীগঞ্জে ব্রীজের নিচ থেকে কলেজ ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

এম.এ আহমদ আজাদ/মতিউর রহমান মুন্না/জসিম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গরমুলিয়া ব্রীজের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটির হাত-পা বিদ্যুতের তার দিয়ে বাধা ছিলো। গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত যুবতী নবীগঞ্জ শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকার (ধানসিড়িঁ) বিমল রায়ের কন্যা তন্নী রায় (১৮)। জানা যায়, গত ৩/৪ দিন ধরে কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। এব্যাপারে পরিবারের লোকজন নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় স্থানীয় লোকজন গরমুলিয়া ব্রীজের নীচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা দেখতে পান। ওই বস্তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি প্রচার হলে শতশত লোক ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়। স্থানীয় জনতার সন্দেহ হলে তারা ওই বস্তাটি লাটি দিয়ে নাড়াচাড়া করলে বস্তাটি ছিড়ে গেলে এর ভিতর থেকে মানুষের লাশের কিছু অংশ বেড়িয়ে আসে। ঘটনাটি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে। লাশের বস্তার মধ্যে বড় একটি পাথর ও বেশ কয়েকটি ইট ছিল। লাশের পড়নে ছিল সাদা পায়জামা, গায়ে লাল খয়েরি জামা ও গলায় স্বর্নের চেইন। লাশের চেহারা বিকৃত হওয়ায় পুলিশ লাশ সনাক্তের জন্য নিখোঁজ তন্নীর পিতা-মাতাকে খবর দেয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌছে তন্নীর পিতা-মাতা ও ভাই প্রথমে লাশটি সনাক্ত করতে পারেনি। এতে করে বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে তন্নীর পড়নের পোশাক ও তার কোমর থেকে তাদের ঘরের একটি তালার চাবি পাওয়ার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত লাশটি সনাক্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তন্নীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এব্যপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খাঁন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের আগে এব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার জয়নগর গ্রামের কানু দাশের পুত্র রানু দাশের সাথে তন্নী রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। লাশ উদ্ধারের পর থেকে ঐ যুবক পলাতক রয়েছে। তবে অপর একটি সূত্রে জানা জানা গেছে ইদানিং ইনাতগঞ্জ এলাকার জনৈক এক যুবকের সাথেও তন্নী রায়ের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এনিয়ে জনমনে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ সুপার নিহত তন্নীর পিতা-মাতাকে শান্তনা দিয়ে বলেন, তন্নীকে হত্যার সাথে যে বা জড়িত তাদেরকে অতিস্বত্বর গ্রেফতার করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর