,

নবীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর তন্নী হত্যাকান্ড : পেরিয়ে গেল ৮ দিন গ্রেফতার হলোনা কেউই : স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পরিষদ প্রশাসকের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামের সময় শেষ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে রানুর পিতার সর্বশেষ অবস্থান চট্রগ্রাম !

রিপন দেব ॥ লাশ উদ্ধারের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর তন্নী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পরিষদের প্রশাসকের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামের সময়ও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রেফতার হয়নি কেউই। তন্নী হত্যাকান্ডের তদন্তভার নবীগঞ্জ থানার এসআই মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের কাছ থেকে ওসি (তদন্ত) কামরুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের দাবী জড়িতদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। এদিকে, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে তন্নী হত্যার প্রধান ট্রার্গেট প্রেমিক রানু রায়। পুলিশ তার বসতঘরে তল্লাশী চালিয়ে উদ্ধার করেছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কোম্পানীর ডিস লাইনের তার ও বস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন আলামত। ইতিমধ্যে রানু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে তাদের সর্বশেষ অবস্থান জেনেছে পুলিশ। রানুর সর্বশেষ অবস্থান ছিল নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও এয়ারটেল টাওয়ারের আওয়ায়। আর তার পিতা কানু রায়ের সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর অবস্থান ছিলো চট্রগ্রাম। কিন্ত এর পর থেকেই মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ থাকায় তাদের আর কোন হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। স্থানীয় অনেকেই ধারনা করছেন, রানু ও তার পরিবার অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ বলছে রানু দেশের ভিতরেই আছে। তাকে গ্রেফতারে সর্বাত্বক প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। রানু রায় ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহভাজনদের ছবি দেশের সকল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের তদন্তে বিপ্লব নামে তন্নীর আরেক প্রেমিকের নাম বেড়িয়ে আসছে। ওই বিপ্লব ইনাতগঞ্জ এলাকার নাকি নবীগঞ্জ শহরের এনিয়ে চলছে নানা আলোচনা। নির্মম এ হত্যাকান্ডে একদিকে যেমন জনমনে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ অন্যদিকে তন্নীর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এঘটনায় আতংকের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কারন নবীগঞ্জের ইতিহাসে এমন নির্মম ঘটনা বিরল। এদিকে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসির দাবীতে প্রতিদিনই কোন না কোন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি। অপরদিকে গত ৩দিন পূর্বে একটি মানববন্ধনে স্থানীয় সাংসদ এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু, জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহ্ নেওয়াজ মিলাদ গাজীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মানবন্ধনে তন্নী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেল। কিন্তু গ্রেফতার হলোনা কোন হত্যাকারী।


     এই বিভাগের আরো খবর