,

হবিগঞ্জে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত অর্ধশতাধিক : ১৮ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় যাত্রা বড়বাড়ি ও সৈয়দপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অনন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আহত সুত্রে জানা যায়, যাত্রা বড়বাড়ি গ্রামের আলফু মিয়ার (৫০) দোকানে কাজ করবে বলে ৬ হাজার টাকা নেয় সৈয়দপুর গ্রামের তফিক মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২০)। কিন্তু জাহাঙ্গীর কাজে যোগদান করেনি। গত সোমবার রাত ৮টায় আলফু মিয়া ও তার লোকজন জাহাঙ্গীরকে রাস্তায় পেয়ে দোকানে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর এর পরিবারের লোকজন আলফু মিয়ার দোকানে আসে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরের পক্ষে সৈয়দপুরের মুরুব্বীদের সমন্বয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ খবর পেয়ে আলফু মিয়ার লোকজন জাহাঙ্গীরকে ওইদিন দুপুর ১টায় গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের নিকট নিয়ে যায়। তিনি জাহাঙ্গীরকে সৈয়দপুরের ওয়ার্ড মেম্বার সুহেল মিয়ার নিকট জিম্মায় দেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মহিলাসহ ৫০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ১৮ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া পূণরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, রহিমা (৫০), টেনু মিয়া (৩০), আব্দুল বারিক (৫০), আব্দুল কাদির (৫০), জুনায়েদ মিয়া (২০), ইছাক আলী (৪২), আজু মিয়া (৩২), আলমগীর মিয়া (৩৫), অঅক্তার মিয়া (৪০), সুজন মিয়া (২০), সোহাগ মিয়া (২২), সাজু মিয়া (২৩), সাজন মিয়া (৪৫), জিতু মিয়া (৫০), আরজত আলী (৪০), আব্দুল করিম (৪৫)। এদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর