,

নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১০ টাকার চাল থেকে বঞ্চিত হতদরিদ্ররা : ২ ডিলার কর্তৃক পুরো চাল আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল ২ ডিলার কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ৮নং সদর ইউপির পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে ডিলার অরবিন্দু রায় (৪৭) ও মোজাহিদ আহমেদ শাহীন (৩৫) এর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, সরকারের ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ বাস্তবায়নে উপজেলার খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় হতদরিদ্রদের মধ্যে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরনের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ২ জন করে ডিলার ও ২ জন করে তদারকী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভবের বাজারের ডিলার হিসেবে অরবিন্দু রায় ও রসুলগঞ্জ বাজারের ডিলার হিসেবে মোজাহিদ আহমেদ শাহীনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮০৬ জন হতদরিদ্র চাউল প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত হন। কিন্তু ডিলার অরবিন্দু রায় (৪৭) ও মোজাহিদ আহমেদ শাহীন (৩৫) হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাউল উত্তোলন করে তা হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরন করেনি। তারা অধিক লাভের আশায় অবৈধভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে মোট ৭,২৫,৪০০ টাকায় বাইরে বিক্রি করে পুরো টাকা আত্মসাত করে ফেলেন। এতে করে ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন ৮০৬ জন হতদরিদ্র লোক। চাল আত্মসাতের ব্যাপারে তদারকী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসের এসএএও মাহবুব আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে তদারকী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বিষয়টি আমি আজকে (গতকাল) জেনেছি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। উল্লেখ্য, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার হতদরিদ্রদের মধ্যে চাউল বিতরনের নির্ধারিত তারিখ। কিন্তু করগাঁও ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মধ্যে এ চাউল বিতরণ করা হয়নি। এব্যাপারে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে গতকাল বুধবার করগাঁও ইউনিয়নের ১৪৩ জন হতদরিদ্রদের মধ্যে চাউল বিতরণ করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর