,

খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের উদ্যোগ জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন

সময় ডেস্ক ॥ সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের হামলায় আহত কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, সিলেটে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে। একইভাবে খাদিজা হত্যাচেষ্টার বিচারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেবে। অভিযোগটি গৃহীত হলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। গত সোমবার বিকালে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এ সময় বদরুল চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। একই সঙ্গে স্থানীয়রা খাদিজাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে সেলাই করে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ভোরে খাদিজাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আরেক দফা তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার এর মধ্যে খাদিজা চোখ ও মাথা নড়াচড়া করেছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎকরা শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় বদরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া খাদিজাকে কোপানোর কথা স্বীকার করে গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বদরুল আলম।


     এই বিভাগের আরো খবর