,

সুতাং নদী থেকে ডাকাত কামালের লাশ উদ্ধার

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়াবই এলাকার সুতাং নদীর চর থেকে কামাল মিয়া (৩০) নামের এক ডাকাতের হাত-পা ভাঙ্গা ও রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ভঙ্গরহাটি গ্রামের চান মিয়ার পুত্র। গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং বিকাল ৩ টার দিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ওসি জানান, কামাল মিয়ার বিরুদ্ধে সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এতদিন সে আত্মগোপনে ছিল। লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে ওসি জানান, লাশের ডান পায়ে ২৫টি ফিকলের গা ও বাম পায়ে ৩৬টি গাসহ মাথায় দুটি আঘাত রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্জনস্থানে নিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে লাশ এখানে ফেলে যায়। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। ফোনটি উদ্ধার করতে পারলে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানান ওসি। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কামালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম আহাজারী করে জানায়, তার দুইটি পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। কামালের পিতা মানসিক রোগী। তার স্বামীর উপার্জনেই সংসার চলতো। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে কে বা কারা কামালের ব্যবহৃত ০১৭২৯-৭৩১৯৭০ নম্বরে ফোন করে। তখন কামাল তার স্ত্রীকে জানায় ১ ঘন্টার ভেতরে ফিরে আসছি। ১ ঘন্টার মধ্যে ফিরে না এলে ফোন করলে কামালের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। গতকাল সকালে লোকজনের মুখ থেকে শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তিনি স্বামীর লাশ সনাক্ত করেন। তার ধারণা, কামালের সহকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কামালের ছোট ভাই শামীম ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন। কামালের পরিবারের দাবি যারা কামালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়। এলাকাবাসি জানান, কামাল ডাকাতির সাথে জড়িত থাকলেও গ্রামে কোন ডাকাতি বা চুরি সে করেনি। এ ব্যাপারে ওসি জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর