,

নবীগঞ্জে গৃহবধুকে গণধর্ষণ : ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এক গৃহবধুকে জোর পুর্বক তিন দিন আটক রেখে গণ ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণ ধর্ষনের পর গত বুধবার গভীর রাতে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের পুকড়া এলাকার নির্ঝন স্থানে গৃহবধুকে পেলে দিয়ে লম্পটরা পালিয়ে যায়, পরে ধর্ষিতা গৃহবধু (১৭) পরের দিন সকালে নবীগঞ্জ হাসপাতালে এসে পরিচিত লোকের মাধ্যমে বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ধর্ষিতার মা, বাবাসহ স্বজনরা হাসপাতালে এসে ধর্ষিতাকে সাথে নিয়ে থানায় আসেন। ওসি (তদন্ত) কামরুল হাসানের নিকট ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পরে ধর্ষিতা গৃহবধু। অতঃপর শুক্রবার সকালে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলার আসামীরা হলো, নাজিমুল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, রুয়েল আহমেদ। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের অসহায় গোপি দাশের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে অন্তরা রানী দাশকে দীর্ঘদিন ধরে উত্তোক্ত করতো একই ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের প্রভাবশালী কাচা মিয়ার ছেলে নাজিমুল উদ্দিন। তার যন্ত্রনায় সহ্য করতে না পেরে প্রায় ২ মাস আগে অন্তরা রানী দাশ’কে উপজেলার ভাকৈর গ্রামের লিটন দাশের সাথে বিবাহ দেয়া হয়। গত ১৬ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা রাতে অন্তরা রানী দাশ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা নাজিমুল ও একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান জোর পুর্বক অপহরণ করে বেগমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে আটক রেখে জোর পুর্বক ধর্ষন করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এদিকে স্ত্রীকে না পেয়ে স্বামী লিটন দাশ শশুড় বাড়িতে খবর দেয়। শশুড় বাড়ির লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাঁখুজিঁ করে না পেয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন গৃহবধুর পরিবার। এ খবর পেয়ে লম্পট নাজিমুল ও মিজানুর গভীর রাতে মুখ বেধেঁ গৃহবধু অন্তরা রানী দাশকে পুকড়া নামকস্থানে পেলে দিয়ে চম্পট দেয়। পরের দিন সকালে নবীগঞ্জ হাসপাতালে পৌছে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেন। এদিকে গৃহবধু বৃহস্পতিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় গিয়ে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। গতকাল শুক্রবার সকালে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর