,

নবীগঞ্জে যুদ্ধাপরাধী গোলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরোদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলার আন্তার্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক তদন্ত দল গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন তদন্তকাজ শুরু করেছে। তদন্তকালে গ্রামবাসী ও মামলার বাদীদের সাফাই স্বাক্ষী গ্রহন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মাহমদপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমান উমরা মিয়ার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ এর বিরোদ্ধে গত ১৩ মার্চ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত অফিসে উপজেলার আতানগীরি গ্রামের রইছ উল্লাহর স্ত্রী সুকুরি বিবি এক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাপ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে আলবদর আলসামছ ও রাজাকার বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। গোলাপের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দিনারপুর হাই স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতি মেয়েদের ধরে এনে ধর্ষন সহ পাশবিক অত্যাচার নির্যাতন করিত। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টার সময় গোলাপের নেতৃত্বে একদল পাক হানাদার বাহিনী বাদীনির বসত ঘরে আসিলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহির হয়ে দৌড় দিলে আসামী গোলাপ তাকে দৌড়াইয়া ধরে ফেলে। পরে তাকে পাকহানাদার বাহিনীর নিকট তুলে দেয়। পরে পাকহানাদার বাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়া ওই বাদীনিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং আসামী গোলাপও বাদীনিকে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া ওই গ্রামের আরো অনেক নিরহ নারীকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষন করে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আসামী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় নিরব ও আত্মগোপনে ছিলেন। বর্তমান সরকারের আমলে যুদ্ধপরাধী ও মানবতা বিরোধী ব্যাক্তিদের বিচারকার্য শুরু হলে তিনি এই অভিযোগ করেন। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এর তদন্তদলের প্রধান নুর হোসেন এর নেতৃত্বে এই তদন্ত করা হয়। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরোধী যুদ্ধাপরাধী অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, যুদ্ধাপরাধী গোলাপ নয়, হাজারো রাজাকার আলবদরাই ছিল প্রভাবশালী। গোলাপের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়া গেলে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর