,

বানিয়াচঙ্গে দুই গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশতাধিক

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে দুই যুবকের বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দুই ঘন্টা সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিত লোক আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সুত্রে জানা যায়, আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র পাভেল আহমেদ (১৮) ও একই গ্রামের বাসিন্দা সুহেল মেম্বারের পুত্র কিবরিয়া (২০) এর মধ্যে গত মঙ্গলবার আগুয়া ইউনিয়ন অফিসের নিকট অজ্ঞাত একটি ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দলাদলি করে গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কাইয়ুমের পক্ষ নিয়ে কাজী বদরুল আলম ও কিবরিয়ার পক্ষে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুহেল মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে একে অপরের উপর হামলা-পাল্টা চালায়। সেই সাথে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। সন্ধ্যায় অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকে উভয় পক্ষ। আহতরা অভিযোগ করেন বারবার বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেনি। অন্ধকার না হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ২ ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষে আব্দুল কাইয়ুম (৪৫), আব্দুল হাশিম (৪০), আব্দুর রহমান (৪৮), শেলী বেগম (৩২), আশিক মিয়া (৪০), ময়না মিয়া (২০), লুকু মিয়া (৩০), আব্দুল্লাহ (৩০), কাজল মিয়া (২০), সাদেক মিয়া (৪৮), আনোয়ার মিয়া (৪৮), শফিক মিয়া (৪৫), শিশু মিয়া (২০), তফসির মিয়া (২০), লিফনা আক্তার (২০), আব্দুল হামিদ (৩০), আব্দুর রহিম (৫০), ভিংরাজ (৩০), আনোয়ারা বেগম (৩০), আব্দুস সহিদ (৩০), জমির আলী (৪০), নাসির মিয়া (২০) ও তালেব মিয়া (২৫) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুল কাইয়ূম, আব্দুল হাশিম, শেলী বেগম ও জুলফু মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশংকা করছেন গ্রামবাসি। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে সুজাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


     এই বিভাগের আরো খবর