,

হবিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী’র সাথে গোপনে অভিসারকালে যুবক আটক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গোপন অভিসারকালে প্রবাসির স্ত্রী রুনা আক্তার (২১) ও সোহাগ আহমেদ (২৫) নামের ভূমি অফিসের কর্মচারি ধরাশায়ী হয়েছে। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে চানপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব উল্লার পুত্র সৌদি প্রবাসি আমির আলী সদর উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মৃত নানু মিয়ার কন্যা রুমানা আক্তার রুনাকে বিয়ে করে। বিয়ের তিনদিনের মাথায় ঘরে সুন্দরী স্ত্রী রেখে আমির আলী সৌদি আরবে চলে যায়। কিন্তু সে জানতো না বিয়ের আগে রুনা যখন শায়েস্তাগঞ্জ বিরামচর গ্রামে বসবাস করতো তখন তারই আত্মীয় সোহাগের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমির আলীর অনুপুস্থিতে সোহাগ ও রুনা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। তারা প্রায় সময়ই গোপন অভিসারে মিলিত হত। বিষয়টি আমির আলীর পরিবারকে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার জানালেও তারা বিশ্বাস করেনি। দিনে দিনে তাদের প্রেম গভীর থেকে গভীর হয়। আমির আলীর পরিবারের অগোচরে বাড়ি ছাড়াও বিভিন্নস্থানে গোপন অভিসারে মিলিত হত। রুনা চালাকির সাথে কেনাকাটার কথা বলে প্রায়ই সোহাগের সাথে দেখা করে আনন্দ ভ্রমনে যেত। আমির আলীর পরিবার থেকে রুনার পরিবারকে বারবার অবহিত করা হলেও তারা কর্ণপাত না করায় দিনে দিনে রুনা বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে। এদিকে আমির আলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাতেনাতে ধরতে উৎপেতে থাকে। শুক্রবার গভীররাতে সোহাগ তার প্রেমিকা রুনার সাথে দেখা করতে আসে। এক পর্যায়ে তারা গোপন অভিসারে মিলিত হয়। এ সময় আমির আলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কবির মিয়াকে খবর দেয়। তিনি এসে সদর থানায় খবর দিলে এএসআই আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একটি সুত্র জানায় রুনার এর আগেও বেশ কয়েকটি প্রেম ছিল। সে শায়েস্তাগঞ্জ কলেজে পড়ালেখা করার সময় সুতাং ভূমি অফিসের প্রসেস সার্ভেয়ার আটক সোহাগের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রুনার পরিবার তার মতের বিরুদ্ধে লোভে পড়ে প্রেমের কথা গোপন রেখে সৌদি প্রবাসি আমির আলীর নিকট বিয়ে দেয়। এদিকে কোন অভিযোগ না থাকায় আটক রুনাকে মুচলেখা রেখে তার অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ এবং সোহাগকে ৫৪ ধারায় কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় রুনা তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের প্রতিক্ষিপ্ত হয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসি আমীর আলীকে তালাক প্রদান করে। এ নিয়ে এলাকায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে। এ ব্যাপারে ওসি ইয়াসিনুল হক জানান, কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় রুনাকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সোহাগকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর